মোবাইল ফোন ব্যবহারে হতে পারে মিসক্যারেজ!

সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে তৈরি হচ্ছে নতুন নতুন প্রযুক্তিসম্পন্ন মোবাইল ফোন । দিন দিন বাড়ছে এর প্রতি আসক্তিও। তবে অনেকেই হয়তো জানেন না, মোবাইল ফোন থেকে নির্গত রেডিয়েশনের প্রভাবে শরীরে হচ্ছে মারাত্মক ক্ষতি। ফলে বাড়ছে প্রসবকালীন সমস্যা এমনকি মিসক্যারেজও। আর তাই গর্ভাবস্থায় বিভিন্ন ডিভাইস থেকে যতটা সম্ভব দূরে থাকার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকেরা। কেননা, মোবাইলের কারণে যে শুধু মায়ের না, ক্ষতি হতে পারে বাচ্চারও।

মোবাইল ফোন এবং বন্ধ্যাত্ব: মাত্রাতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার করলে শুক্রাণুর সংখ্যা কমে যেতে শুরু করে। সেই সঙ্গে শরীরে এমন পরিবর্তন দেখা দেয়, যে বাচ্চা নেওয়ার ক্ষেত্রে নানা সমস্যা দেখা দেয়। কারণ মোবাইলের রেডিয়েশনের কারণে বীর্য উৎপাদনকারী কোষেরা এত মাত্রায় ক্ষতিগ্রস্থ হয় যে শুক্রাণুর মান কমতে শুরু করে। এক গবেষণায়, ৩২ জন পুরুষের কাছে থেকে স্পার্ম সংগ্রহ করে সেগুলোর পাশে মোবাইল ফোন রেখে দেখতে চেয়েছিলেন বীর্যের ওপর রেডিয়েশনের কেমন প্রভাব পড়ে। এমনটা করতে গিয়ে তারা লক্ষ করেন মোবাইল ফোন রাখার আগে স্পার্মের যা কোয়ালিটি ছিল, তার থেকে অনেকটাই কমে গেছে।

ফোন বক্ষবন্ধনীর মধ্যে রাখবেন না: স্তন ক্যান্সারের সঙ্গে মোবাইল ফোনের সরাসরি সংযোগ রয়েছে। গবেষকর জানিয়েছেন, অন্তর্বাসের মধ্যে ফোন রাখলে শরীরে বিশেষ কিছু অংশে রেডিয়েশনের মারাত্মক প্রভাব পড়ে। বিশেষ করে স্তনে। এমনটা যদি দীর্ঘদিন চলমান থাকলে ব্রেস্ট ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও পাল্লা দিয়ে বৃদ্ধি পাবে।

মস্তিষ্কের মারাত্মক ক্ষতি হয়: মাত্রাতিরিক্ত মোবাইল ফোন ঘাঁটলে ঘুম ঠিক মতো হয় না। আর ঘুম যদি ঠিক মতো না হয়, তাহলে স্বাভাবিকভাবেই মস্তিষ্কের কাজ করার ক্ষমতাও কমতে শুরু করে। ফলে স্মৃতিশক্তি যেমন লোপ পায়, তেমনি মনযোগ ও বুদ্ধির ঘাটতিও দেখা দেয়। সেই সঙ্গে মস্তিষ্কে রক্তের প্রবাহ কমে যাওয়ার কারণে নানা রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাও বেড়ে যায়।