জনশুনানিতে ওই তরুণী জানান, ২০১৫ সালের ২৪ জানুয়ারি তাঁর বিয়ে হয় ঢোলকপুরার এক যুবকের সঙ্গে। বিয়ের পর থেকেই পণের দাবিতে তাঁর উপর অত্যাচার শুরু করে দেন তাঁর স্বামী, শ্বাশুড়ি ও ননদ। ওই গৃহবধূকে দেহব্যবসা করতেও জোরাজুরি করতে থাকেন তাঁর স্বামী। তবে, অত্যাচারের এখানেই শেষ হয়নি। জনশুনানিতে অসহায় মেয়েটি চিত্কার করে জানিয়েছেন, তাঁকে নেশার ইঞ্জেকশন দিয়ে আচ্ছন্ন করে দেয় তাঁর স্বামী। এরপর তাঁর উপর চলে অকথ্য শারীরিক নির্যাতন। স্ত্রীর সঙ্গে অপ্রাকৃতিক যৌন সম্পর্ক স্থাপন করেন তাঁর স্বামী।
মেয়েটির যখন নেশা কাটে, তখন এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর পরিণতি হয়েছে আরও ভয়ংকর। সিগারেটের ছ্যাঁকায় পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে তাঁর গা-মুখ। বিয়ের পর দেড় বছরেই মেয়েটির জীবন নরকে পরিণত হয়েছে। দিনের পর দিন এই অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে, অবশেষে বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছেন তিনি। সোজা চলে গিয়েছেন পুলিশ সুপারের জনশুনানিতে। তাঁর জীবনের মর্মান্তিক অভিজ্ঞতা শোনার পরই তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকেদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। এইসময়