দক্ষিণ সুদানে সম্প্রতি দেড়শ’রও বেশি নারী ও কিশোরীকে ধর্ষণ ও যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে৷ তাদের উপর ধর্ষণসহ বিভিন্ন ধরনের যৌন অত্যাচার চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনটি জাতিসংঘ সংস্থার নেতারা৷
উত্তরাঞ্চলের শহর বেনতিউ এ হামলা চালানোর সময় অস্ত্রধারী পুরুষ, যাদের অনেকে ইউনিফর্ম পরিহিত ছিল তারা বিভিন্ন বয়সি নারীদের ধর্ষণ ও যৌন নির্যাতন করে৷ ইউনিসেফ, ইউএন এইড এবং ইউএন পপুলেশন ফান্ড-এর প্রধানরা এক যৌথ বিবৃতিতে এসব তথ্য জানান৷
তিনটি সংস্থাই ঐ হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে, অবিলম্বে কর্তৃপক্ষকে এর বিচারের দাবি জানিয়েছেন৷ গত সপ্তাহে ডক্টর্স উইদাউট বর্ডার্স জানিয়েছিল, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার ত্রাণ বিতরণের সময় সেখানে পৌঁছানোর পথে ১২৫ নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন৷ জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসও এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন৷ এক বিবৃতিতে তিনি দক্ষিণ সুদানের সব রাজনৈতিক দলকে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছেন৷ পাশাপাশি এসব ঘটনা তদন্ত করে বিচারের দাবি জানিয়েছেন তিনি৷
২০১৩ সাল থেকে দক্ষিণ সুদানে যৌন সহিংসতা ভয়াবহ রূপ নিয়েছে৷ চলতি বছরের প্রথম ৬ মাসে যৌন সহিংসতার ২ হাজার ৩০০ টি ঘটনা রিপোর্ট করা হয়েছে৷ এদের মধ্যে শতকরা ২০ ভাগই শিশু৷ তিনটি সংস্থা বলছে, বেশিরভাগ ঘটনাই রিপোর্ট করা হয় না৷ তাই এই সংখ্যাটা অকল্পনীয়৷ ধর্ষণের পাশাপাশি এদের অমানবিকভাবে শারীরিক নির্যাতন করা হয়৷ এছাড়া অনেকের কাছ থেকে যাবতীয় জিনিস ছিনতাই করা হয়, বিশেষ করে ত্রাণ সামগ্রী নেয়ার রেশন কার্ড৷
জাতিসংঘের একটি বিশেষজ্ঞ প্যানেল গত মাসে নিরাপত্তা পরিষদে একটি প্রতিবেদনে জানিয়েছিল, দক্ষিণ সুদানে যৌন সহিংসতা এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ভয়ংকর পর্যায়ে পৌঁছেছে৷