নিউজিল্যান্ডে বন্দুকধারীর গুলিতে ৫৯ জন নিহত হওয়ার ঘটনায় লাইভ স্ট্রিমিং নীতিমালায় পরিবর্তন আনছে ফেইসবুক।
কোম্পানিটির চিফ অপারেটিং অফিসার শেরিল স্যান্ডবার্গ ইনস্টাগ্রাম ব্লগে লিখেছেন, আর কী কী করা উচিত সে সম্পর্কে সবার মতামত নিয়েছি এবং তাদের দাবি সঠিক বলে মনে করছি। কে লাইভে আসতে পারবে আর কে পারবে না তা বিশ্লেষণ করা হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, সহিংস ভিডিওগুলোর এডিটেড সংস্করণগুলোর প্রচার দ্রুত ঠেকানোর জন্য গবেষণা প্রয়োজন। তাই গবেষণায় বিনিয়োগের পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে।
শেরিল আরও জানান, আসল ভিডিও লাইভ করা হলেও এটি ছড়ায় মূলত বার বার শেয়ার করার মাধ্যমে। ফলে ভিডিওগুলো ব্লক করা কঠিন হয় যায়। ক্রাইস্টচার্চ হামলার ১৭ মিনিটের ভিডিওর খন্ডিত অংশগুলো দিয়ে আরও ৯০০ ভিডিও প্রচার করা হয়। সেগুলো খুঁজে পেতে যথেষ্ঠ বেগ পেতে হয়েছে।
হামলা চালানোর সময় লাইভ করার ঘটনা প্রথম ঘটে আজ থেকে দুই বছর আগে। ২০১৬ সালে স্ট্রিমিং ফিচার চালু করে ফেইসবুক। যোগাযোগের ক্ষেত্রে মানুষকে আরও কাছাকাছি আনাই ছিলো লাইভ স্ট্রিমিংয়ের সুবিধা চালুর মূল উদ্দেশ্য।
কিন্তু বছর না গড়াতেই অন্তত ৫০টি সহিংস ভিডিও প্রচার করা হয় ফেইসবুকে। এর মধ্যে ছিলো খুন, আত্মহত্যা ও নির্যাতনের ভিডিও।