বলিউড কাঁপাতে আসছেন শানায়া কাপুর
মেয়েটার বাবার নাম সঞ্জয় কাপুর, কাকা অনিল কাপুর, দিদি সোনম কাপুর, দাদা অর্জুন কাপুর। বলিউডের পরিচিত সব নাম। সম্প্রতি বলিউডে নাম লেখানো তাঁর আরেক বোন জাহ্নবী কাপুর এর মধ্যে প্রশংসা কুড়াতে শুরু করেছেন। আরেক বোন খুশি কাপুর ঘোষণা দিয়েছেন, যেকোনো সময় বলিউডে পা রাখবেন তিনি। সঞ্জয় কাপুর আর মাহিপ কাপুরের মেয়ে শানায়া কাপুরের তবে বসে থাকা শোভা পায়?
শিগগির বলিউডের বাসিন্দা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছেন শানায়া কাপুর। ছবি শেয়ারিংয়ের সাইট ইনস্টাগ্রামে পোস্ট দিয়ে সম্প্রতি এমন ঘোষণা দিয়েছেন বাবা সঞ্জয় কাপুর ও মা মাহিপ কাপুর। খবরটি কাপুর গোষ্ঠীর জন্য আনন্দদায়ক। বলিউডে বাড়ছে তাদের জ্ঞাতিগোষ্ঠী। বলিউডকে রীতিমতো পারিবারিক চৌহদ্দি বানিয়ে ফেলেছে তারা।
ক্যামেরার সামনে দাঁড়ানোর আগে আপাতত জাহ্নবী কাপুরের সঙ্গে শানায়া কাপুর ব্যস্ত ক্যামেরার পেছনে। কার্গিল যুদ্ধের দুঃসাহসী বৈমানিক গুঞ্জন স্যাক্সেনার জীবনীনির্ভর এক ছবিতে সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ করছেন তিনি। এ নিয়ে ছবির প্রযোজক বাবা সঞ্জয় কাপুর বলেছেন, ‘সন্তান যখন পেশাগত জীবন শুরু করে, বাবা-মায়ের জন্য সেটা আনন্দের এবং গর্বের। শানায়ার স্বপ্ন স্পর্শ করার যাত্রা শুরু হয়েছে। ক্লাসরুমের চেয়ে বরং ব্যবহারিক কাজ থেকে অভিজ্ঞতা অর্জন বেশি কার্যকর। অভিজ্ঞতাই সেরা শিক্ষা। সে এখন সহকারী পরিচালক। তাদের শুটিং সেটে দারুণ সব শিল্পী আছেন। বড় একটা কাজ হতে যাচ্ছে এটি। কঠিন বাস্তবতার ভেতর থেকে চলচ্চিত্রের প্রয়োজনীয় সব শিক্ষা গ্রহণ করবে সে। লক্ষ্ণৌতে তাপমাত্রা এখন ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর ভেতরেই কাজ করতে আনন্দ পাচ্ছে মেয়েটা। শুধু তা-ই নয়, আরেক সহকারী পরিচালকের সঙ্গে একটি ঘরে থাকতে হচ্ছে তাকে। এভাবেই বাস্তব দুনিয়ার মুখোমুখি হতে হচ্ছে তাকে আর এ নিয়ে আমি কিন্তু খুবই খুশি।’
সঞ্জয় কাপুর বলেন, ‘শিগগির অভিনয় শুরু করবে শানায়া কাপুর। পরিচালনার কাজটা তখন একটা অভিজ্ঞতা হিসেবে কাজে দেবে। এর মধ্য দিয়ে চলচ্চিত্র জগৎ এবং এখানকার মানুষ সম্পর্কে জানতে পারবে সে। যখন খুব কাছ থেকে শিল্পীদের অভিনয় করতে দেখবে, এটাই হবে তার জন্য সবচেয়ে ভালো শিক্ষা।’
‘লাস্ট স্টোরিজ’ ছবির পর দারুণ সব চিত্রনাট্য পেতে শুরু করেছেন সঞ্জয় কাপুর। যখন প্রযোজনা নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন, তখন পাওয়া চিত্রনাট্যগুলো খুব একটা ভালো লাগত না তাঁর। কিন্তু ‘লাস্ট স্টোরিজ’-এর জন্য নিজেকে ভাগ্যবান মনে করছেন এখন। ওই ছবির কারণেই নাকি সবার দৃষ্টি খুলে গেছে। ভালো ভালো চরিত্র আসতে শুরু করেছে। পরেরবার তাঁকে দেখা যাবে ‘দ্য জয়া ফ্যাক্টর’ ছবিতে। ‘মিশন মঙ্গল’ নামের এক ওয়েব সিরিজেও অভিনয় করেছেন ৫৩ বছর বয়সী এই অভিনয়শিল্পী।
সোনম কাপুরও ‘ব্ল্যাক’ ছবিতে সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ করেছিলেন। পরে সঞ্জয় লীলা বনসালির ‘সাওয়ারিয়া’ দিয়ে অভিনয় শুরু করে ভারতের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়ে যান তিনি। অর্জুন কাপুর ‘কাল হো না হো’ আর ‘সালাম-ই-ইশক’ ছবিতে নিখিল আদভানির সহকারী ছিলেন। পরে ২০১২ সালে ‘ইশকজাদে’ দিয়ে অভিনয় শুরু করেন। সুতরাং পারিবারিক ধারা বজায় রেখেই শুরু করছেন শানায়া কাপুর। সূত্র: ডেকান ক্রনিকল