সর্দি-কাশি কিংবা ফ্লু হওয়ার প্রধান কারণ জীবাণু। যাঁরা বেশি মানুষের সংস্পর্শে থাকেন, তাঁদের এ ধরনের সমস্যা সাধারণত বেশি হয়। কিছু সহজ উপায় অবলম্বন করলে সর্দি, কাশি ও ফ্লু থেকে কিছুটা হলেও নিস্তার পাওয়া যায়।
কিছুক্ষণ পর পর হাত ধোয়া
ঠাণ্ডা ও ফ্লুর বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দুটি বস্তু হলো সাবান ও পানি। এ জন্য কিছুক্ষণ পর পর হাত ধোয়ার অভ্যাস করুন। এতে হাতের জীবাণুগুলো শরীরে ঢুকতে পারবে না। সব সময় সাবান-পানি রাখা সম্ভব না হলে হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখতে পারেন।
প্রচুর পানি পান
সর্দি কিংবা ফ্লু থেকে দূরে থাকার জন্য নিয়মিত প্রচুর পানি পান করা জরুরি। যাদের ঘন ঘন সর্দি জ্বর হয়, তাদের প্রতিদিন অন্তত দুই লিটার পানি বা পানিজাতীয় খাবার খাওয়া প্রয়োজন।
পুষ্টিকর খাবার
প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে ফল ও সবজি খাওয়া উচিত। নিয়মিত ফলমূল ও সবজি খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে এবং সর্দি লাগার প্রবণতা কমে।
ভিটামিন ‘সি’ ও ‘ডি৩’
ভিটামিন ‘সি’ ও ‘ডি৩’-এর অভাবে শিশুদের সর্দি ও ফ্লু হওয়ার প্রবণতা ৭০ শতাংশ বেড়ে যায়। তাই প্রতিদিন খাদ্যতালিকায় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ‘সি’ ও ‘ডি৩’ রাখুন।
চা পান
কিছু কিছু চা সর্দি-কাশি ও ফ্লু থেকে শরীরকে রক্ষা করতে ভূমিকা রাখে। সবুজ চা এবং লেবু চা নিয়মিত সেবনে ঠাণ্ডা লাগার প্রবণতা কমে যায়।
অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট
যেসব খাবার অ্যান্টি-অক্সিডেন্টসমৃদ্ধ, সেগুলো প্রতিদিন খাদ্যতালিকায় রাখা উচিত। স্ট্রবেরি, আপেল, সিমের বিচি, বাঁধাকপি, ব্রকোলি ইত্যাদি খাবারে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট আছে। অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং ঠাণ্ডা বা ফ্লু থেকে শরীরকে রক্ষা করে। এ ছাড়া স্বাস্থ্যকর আবহাওয়া, নিয়মিত ব্যায়াম এবং যথেষ্ট পরিমাণে বিশ্রাম শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং ঠাণ্ডাজনিত অসুখ-বিসুখ থেকে কিছুটা হলেও রক্ষা করে। তাই সুস্থ থাকতে স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের অভ্যাস করুন।
লেখক : মেডিসিন বিশেষজ্ঞ