বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনের সরকারি বাসভবনে ঢুকে এ হামলা চালানো হয়।
অদিতির বাসার গৃহকর্মী বন্যা আক্তার জানান, এক যুবক নিজেকে রামানন্দ পালের অফিসের লোক পরিচয় দিয়ে বাসায় ঢোকে এবং অদিতির পেটে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে পালিয়ে যায়। এ সময় অদিতির চিৎকারে পাশের লোকজন ছুটে আসে। পরে তাঁকে পিরোজপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
অদিতির স্বামী রামানন্দ পাল জানান, এর আগেও তাঁর স্ত্রীর ওপর দুই দফায় হামলা চালানো হয়েছে।
পিরোজপুরের জেলা প্রশাসক আবু আলী মো. সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ‘এটি কী ধরনের আক্রমণ এ বিষয়ে আমরা এখনো নিশ্চিত নই। তবে এটি একটি পরিকল্পিত হত্যা চেষ্টা বলে মনে হচ্ছে। আমরা এখন অদিতির নিরাপত্তার ব্যবস্থা নিচ্ছি। পুলিশ চেষ্টা করছে হামলাকারীকে খুঁজে বের করে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার। অদিতিকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সেখানে তাঁর চিকিৎসা চলছে। এর আগেও অদিতির বোপর হামলা হয়েছে। সেখান থেকেও তিনি বেঁচে এসেছেন। আগের হামলার সঙ্গে এটির যোগসূত্র রয়েছে বলে আমাদের মনে হচ্ছে।’
পিরোজপুর সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. সাকিল সরোয়ার বলেন, রাত ৮টার দিকে আমাদের এখানে অদিতি বড়াল ও বন্যা আক্তার নামের দুইজন রোগী এসেছেন। অদিতির তলপেটে ও বাম হাতে এবং বন্যা আক্তারের ডান হাতে ছুরির আঘাত রয়েছে। আমরা তাদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়েছি। অদিতির অবস্থা এখন আশঙ্কামুক্ত। কাল পর্যন্ত আমরা রোগীর অবস্থা বিবেচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।
তবে এ বিষয়ে কোনো বক্তব্য দেয়নি পুলিশ।
অদিতি বড়াল পাশের বাগেরহাট জেলার চিতলমারী উপজেলায় ২০০০ সালে খুন হওয়া আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট কালী দাস বড়াল ও বর্তমানে সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য হ্যাপি বড়ালের মেয়ে। এর আগে গত বছরের ১৬ ডিসেম্বর বাগেরহাট সদরের আমলাপাড়া স্কুলের গেটের সামনে অদিতি বড়ালের পেটে ছুরিকাঘাত করে দুর্বৃত্তরা। ওই ঘটনার আট মাস আগেও একবার দুর্বৃত্তরা অদিতির ওপর হামলা করে বলে জানিয়েছেন সাংসদ হ্যাপি বড়াল।