সাকিব আল-হাসান টি-টোয়েন্টির পরে টেস্ট নেতৃত্ব পেলেন
গত ৪ এপ্রিল শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টি শুরু হওয়ার ঠিক আগে ২০ ওভারের ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দেন মাশরাফি। তখনই টি-টোয়েন্টির পরবর্তী অধিনায়ক হিসেবে সাকিব এর নাম উঠে আসে আলোচনায়। টি-টোয়েন্টির অধিনায়কত্ব পেয়েছিলেন শ্রীলঙ্কা থেকে ফিরেই, এবার টেস্টেও পেলেন নেতৃত্ব।
টি-টোয়েন্টির পর টেস্টেও সাকিব অধিনায়ক হলেন
নতুন অধিনায়ক নির্বাচনের বিষয়ে বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান বলেছেন, ‘আগামী সিরিজ থেকে আমাদের টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন সাকিব আল হাসান। সহ-অধিনায়ক হিসেবে সাকিবকে সহায়তা করবেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।’
মুশফিককে সরিয়ে সাকিবকে কেন আনা হলো এই নিয়ে ব্যাখ্যা করেন বোর্ড সভাপতি, পরিবর্তনের বেশ তিকছু কারণ আছে। কিন্তু এখনই কারণগুলো বলা যাচ্ছে না। আমরা মনে করেছি, এখানে একটা পরিবর্তন হওয়া দরকার। মুশফিক বাংলাদেশের সেরা ব্যাটসম্যান, তার ব্যাটিংয়ে মনোযোগ দেওয়া উচিত। সব মিলিয়ে আমরা কিছু পরিকল্পনা করেছি, সেটারই একটা ধাপ এটি। অন্য জায়গাতেও পরিবর্তন আসবে।’
টি-টোয়েন্টির পর টেস্টেও সাকিব অধিনায়ক হলেন। তাহলে কি ওয়ানডেতেও পরবর্তী অধিনায়ক এই অলরাউন্ডার? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে বিসিবি সভাপতি বলেছেন, ‘ওয়ানডেতে আমাদের অধিনায়ক মাশরাফি। এখন ওয়ানডে নেতৃত্বে পরিবর্তন সম্ভব নয়। ভবিষ্যতে হয়তো সাকিব তিন সংস্করণে অধিনায়ক হতে পারে। তবে মাশরাফি যতদিন আছে, ততদিন ওয়ানডেতে অন্য কারও অধিনায়ক হওয়ার সুযোগ নেই।’
বাংলাদেশের ক্রিকেটের মহাতারকা ২০০৯ সালে প্রথম নেতৃত্ব পেয়েছিলেন জাতীয় দলের। সে বছর ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে অধিনায়ক মাশরাফি মুর্তজা ইনজুরিতে পড়লে তার কাঁধে পড়ে নেতৃত্বভার। ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে টেস্ট জিতে শুরু হয়েছিল তার অধিনায়কত্ব। কিন্তু ৯ টেস্টের বাকি ৮টি ম্যাচই হেরেছেন অধিনায়ক সাকিব। ২০১১ বিশ্বকাপে তার অধিনায়কত্বে খেলেছিল টাইগাররা। ওই বছরই জিম্বাবুয়ে সফরে দলীয় ব্যর্থতা আর শৃঙ্খলা ভঙ্গের জের ধরে অধিনায়কত্ব হারান সাকিব। এরপর কয়েক বছর আর বাংলাদেশ দলের নেতৃত্বে দেখা যায়নি তাকে। তবে এ বছর আবার শুরু হলো বাংলাদেশের ক্রিকেটের সাকিব-যুগ।
সাকিবের টেস্ট ক্যারিয়ার ৫১ ম্যাচের। যেখানে ৫টি সেঞ্চুরি ও ২২টি হাফসেঞ্চুরিতে তার রান ৩ হাজার ৫৯৪। বাংলাদেশের পক্ষে টেস্টে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংসের (২১৭ রান) মালিক তিনি। বাঁহাতি স্পিনে নিয়েছেন ১৮৮ উইকেট। ম্যাচে ১০ উইকেট নিয়েছে দুবার, আর ইনিংসে ৫ উইকেট ১৭ বার।