প্রাইভেট ক্লিনিকগুলোতে প্রসবের ৮৩ শতাংশই হয়ে থাকে সিজার-এর মাধ্যমে। সরকারী স্বাস্থ্যকেন্দ্রে সিজারিয়ান প্রসবের হার ৩৫ শতাংশ। শুধু ক্লিনিক বা হাসপাতাল না, সিজার করানোর জন্য নিজেরাও এ ক্ষেত্রে অনেকটা দায়ী। কেননা, গর্ভবতী হওয়ার পর কিছু রুটিন নিয়ম মেনে চলতে হয়। যা নরমাল ডেলিভারীতে সহায়ক ভূমিকা রাখে। এগুলো হলো-
আত্মবিশ্বাস: প্রথমেই একজন মা প্রাকৃতিক নিয়মে ডেলিভারী করবেন এমন শক্ত মনের জোর থাকতে হবে।
বিশেষ ব্যায়াম: lugel exercise নামে একধরণের ব্যায়াম আছে। যাতে পেলভিক এলাকার মাংসপেশী সংকোচন ও প্রসারণ করার মাধ্যমে কটিদেশের প্রসারণ ক্ষমতা বাড়ানো হয়।
লম্বা শ্বাস নেয়া: গভীরভাবে শ্বাস নিয়ে প্রশ্বাস ছাড়লে ফুসফুসের ক্ষমতা বাড়ানো হয়। তাহলে লেবারে চাপ দিতে বললে শ্বাস বন্ধ করে চাপ দিতে পারবেন।
নিয়মিত হাঁটা: নিয়মিত হাঁটলে বা সাঁতার কাটলে মা শারীরিকভাবে শক্তিশালী হন।
চেকআপ করা: নিয়মিত চেকআপের মাধ্যমে কোন রোগ থাকলে যেমন হাইপার টেনশন ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন রোগ নিয়ন্ত্রণে থাকলে মা নরমাল ডেলিভারীর চেষ্টা করতে পারেন।
খাদ্যাভ্যাস: ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী খাদ্য গ্রহণ করলে সন্তান খুব বড়ও হয় না আবার ছোট ও হয় না। ফলে নরমাল ডেলিভারীর সম্ভাবনা বেশি থাকে।