গলায় সীতাহার, হাতে মটরবালা, কানে ঝুমকো! সাজের আদলই বদলে যায় একটু সোনার ছোঁয়ায়।
বিয়েবাড়ির মরসুম শুরু হয়ে গিয়েছে। উপহার বা তত্ত্ব থেকে শুরু করে বাড়ির সদস্যের বিয়ের জন্য সোনা কেনার প্রয়োজন এই সময় পড়েই। তবে সকলেই যে খুব ব্র্যান্ডেড দোকান থেকেই সোনা কিনেত পারেন এমন নয়। আবার নামী প্রতিষ্ঠান থেকে কিনলেও যে নকল হাতে আসবে না— এমনটাও জোর দিয়ে বলা যায় না।
তাই সোনা কিনতে হলে এখন থেকেই সচেতন হন। এমনিতেও এই মূল্যবান ধাতুর প্রতি কম-বেশি অনেকেরই আকর্ষণ রয়েছে। কেবল বিয়েই নয়, বিভিন্ন উপলক্ষে মানুষ ক্রয় করে থাকে। তাই এই দ্রব্যটি কেনার আগে আপনাকে সচেতন হতে হবে। সোনার যাচাইয়ের অনেক রকম নিয়ম আছে। কিন্তু তার মধ্যেও সবচেয়ে সহজ কিছু ঘরোয়া উপায় জানা থাকলে সহজে ঠকে যাবেন না।
এমনিতে আসল সোনা ২৪ ক্যারেট ওজনের, কিন্তু এতই নরম যে তা দিয়ে গয়না বানানো সম্ভব নয়। তাই সোনার সঙ্গে কিছুটা খাদ মেশালে তবেই তা থেকে গয়না বানানো যায়। গয়না প্রস্তুতির জনেয ২২ ক্যারেটের সোনা ব্যবহার করা হয়। যার মধ্যে সোনার পরিমাণ ৯১.৬৬ শতাংশ। সব ক্যারেটের হলমার্ক পৃথক। সোনার গয়নার ক্ষেত্রে, অর্থাৎ ২২ ক্যারেটের হলমার্ক ৯১৬। হলমার্ক দেখে কিনলে ঠকার ভয় আর থাকে না। কিন্তু খরচ বাঁচাতে যাঁরা হলমার্ক ছাড়া সোনা কেনেন, তাঁদের ক্ষেত্রে কী হবে?`কম দামে সোনা কিনছেন বলেই কি ঠকে যেতে হবে না কি?
কিছু উপায় জানা থাকলে কিন্তু কম খরচে কিনলেও দেখে নিতে পারেন তা আসল কি না।
- সাদা চিনেমাটির প্লেট নিন। সোনার গয়না তাতে ঘষলে কী রং দেখাচ্ছে? যদি হালকা সোনালি রং দেখায়, তা হলে নিশ্চিন্ত থাকুন, এটি খাঁটি। যদি রং কালচে হয়, তা হলে তা নকল সোনার।
- সোনার পদক পাওয়া খেলোয়াড়রা অনেক সময় সেই মেডেলে কামড় দেন। এটা বর্তমানে ‘স্টাইল স্টেটমেন্ট’ হয়ে উঠলেও এর আসল কারণ কিন্তু সোনার খাঁটিত্ব বিচার। কেনা সোনায় হালকা করে কামড় দিয়ে রাখুন অল্প কিছুক্ষণ। যদি সোনার আসল হয় তার উপর কামড়ের দাগ পড়বে।
- পাত্রে কিছুটা জল নিয়ে কিনে আনা সোনার সেই জলে ফেলে দিন। যদি সোনার ভাসে, তবে জানবেন তা নকল। আসল সোনার সঙ্গে সঙ্গে ডুবে যাবে।