স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধে সচেতন হোন
ডা. মিথিলা কর্মকার
বাংলাদেশে ১৬ দশমিক ৯০ শতাংশ নারী স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত। দিন দিন আশঙ্কাজনকভাবে বাড়ছে এই হার। আগে অনূর্ধ্ব ৪০ বছরের রোগী কম ছিল, এখন ২০-৩০ বছরের অনেকেই এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।
কারণ
❏ খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তন, বিশেষ করে ফাস্ট ফুড, জাংক ফুড, কোল্ড ড্রিংকস, ভাজাপোড়া খাবারের প্রচলন বেড়ে যাওয়া।
❏ মেদ বেড়ে যাওয়া বা মুটিয়ে যাওয়া।
❏ প্রথম সন্তান বেশি বয়সে হওয়া অথবা সন্তান না হওয়া।
❏ জন্মনিয়ন্ত্রণ পিলের প্রভাব।
❏ ধূমপান, মদ্যপান।
❏ বংশগত কারণ। বিশেষ করে মা, খালা, নানি, দাদি, ফুফু, কাজিনদের স্তন বা ওভারির ক্যান্সার থাকলে।
লক্ষণ
❏ স্তনে ব্যথাযুক্ত চাকা।
❏ বগলে চাকা।
❏ স্তনের বোঁটা দিয়ে রক্ত যাওয়া, চুলকানি।
❏ বোঁটা স্তনের ভেতরে ঢুকতে শুরু করা।
❏ স্তনে বা বোঁটায় কোনো ঘা হওয়া ইত্যাদি।
চিকিৎসা
ওপরের লক্ষণগুলোর যেকোনোটি দেখা গেলে বিলম্ব না করে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। কেননা প্রাথমিক অবস্থায় স্তন ক্যান্সার শনাক্ত করা গেলে তা পুরোপুরি নিরাময় করা সম্ভব। স্তন ক্যান্সারের মূল চিকিৎসা সার্জারি। পাশাপাশি কেমোথেরাপি, রেডিওথেরাপি, হরমোন থেরাপি ইত্যাদি দেওয়া হয়। রোগের পর্যায় বা স্টেজ অনুযায়ী মূলত চিকিৎসার ধরন নির্ধারিত হয়। প্রাথমিক অবস্থায় সম্পূর্ণ স্তন অপারেশন করে না ফেলে শুধু ক্যান্সার আক্রান্ত অংশ ফেলে দিয়েও চিকিৎসা সম্ভব। আর সম্পূর্ণ স্তন ফেলতে হলেও রিকনস্ট্রাক্টিভ সার্জারির মাধ্যমে নতুন স্তন তৈরি করা যায়। পুরো চিকিৎসা পদ্ধতি গ্রহণ করলে আরোগ্য লাভের সম্ভাবনা শতভাগ।
প্রতিরোধে করণীয়
সচেতন হলে স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধ করা যায়। এ জন্য কিছু করণীয় হলো—
❏ পিরিয়ড শুরু হওয়ার সাত দিন পর নিজের স্তন নিজেই পরীক্ষা করুন।
❏ চল্লিশ বছরের বেশি হলে বছরে একবার ম্যামোগ্রাম ও ৪০ বছরের কম হলে আলট্রাসনোগ্রাম করুন।
❏ স্বাস্থ্যসম্মত খাবার ও সবুজ শাকসবজি গ্রহণ করুন।
লেখক : স্তনরোগ বিশেষজ্ঞ সার্জন
ইউনিভার্সেল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল
(সাবেক আয়েশা মেমোরিয়াল হাসপাতাল)
বাংলাদেশে ১৬ দশমিক ৯০ শতাংশ নারী স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত। দিন দিন আশঙ্কাজনকভাবে বাড়ছে এই হার। আগে অনূর্ধ্ব ৪০ বছরের রোগী কম ছিল, এখন ২০-৩০ বছরের অনেকেই এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।
কারণ
❏ খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তন, বিশেষ করে ফাস্ট ফুড, জাংক ফুড, কোল্ড ড্রিংকস, ভাজাপোড়া খাবারের প্রচলন বেড়ে যাওয়া।
❏ মেদ বেড়ে যাওয়া বা মুটিয়ে যাওয়া।
❏ প্রথম সন্তান বেশি বয়সে হওয়া অথবা সন্তান না হওয়া।
❏ জন্মনিয়ন্ত্রণ পিলের প্রভাব।
❏ ধূমপান, মদ্যপান।
❏ বংশগত কারণ। বিশেষ করে মা, খালা, নানি, দাদি, ফুফু, কাজিনদের স্তন বা ওভারির ক্যান্সার থাকলে।
লক্ষণ
❏ স্তনে ব্যথাযুক্ত চাকা।
❏ বগলে চাকা।
❏ স্তনের বোঁটা দিয়ে রক্ত যাওয়া, চুলকানি।
❏ বোঁটা স্তনের ভেতরে ঢুকতে শুরু করা।
❏ স্তনে বা বোঁটায় কোনো ঘা হওয়া ইত্যাদি।
চিকিৎসা
ওপরের লক্ষণগুলোর যেকোনোটি দেখা গেলে বিলম্ব না করে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। কেননা প্রাথমিক অবস্থায় স্তন ক্যান্সার শনাক্ত করা গেলে তা পুরোপুরি নিরাময় করা সম্ভব। স্তন ক্যান্সারের মূল চিকিৎসা সার্জারি। পাশাপাশি কেমোথেরাপি, রেডিওথেরাপি, হরমোন থেরাপি ইত্যাদি দেওয়া হয়। রোগের পর্যায় বা স্টেজ অনুযায়ী মূলত চিকিৎসার ধরন নির্ধারিত হয়। প্রাথমিক অবস্থায় সম্পূর্ণ স্তন অপারেশন করে না ফেলে শুধু ক্যান্সার আক্রান্ত অংশ ফেলে দিয়েও চিকিৎসা সম্ভব। আর সম্পূর্ণ স্তন ফেলতে হলেও রিকনস্ট্রাক্টিভ সার্জারির মাধ্যমে নতুন স্তন তৈরি করা যায়। পুরো চিকিৎসা পদ্ধতি গ্রহণ করলে আরোগ্য লাভের সম্ভাবনা শতভাগ।
প্রতিরোধে করণীয়
সচেতন হলে স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধ করা যায়। এ জন্য কিছু করণীয় হলো—
❏ পিরিয়ড শুরু হওয়ার সাত দিন পর নিজের স্তন নিজেই পরীক্ষা করুন।
❏ চল্লিশ বছরের বেশি হলে বছরে একবার ম্যামোগ্রাম ও ৪০ বছরের কম হলে আলট্রাসনোগ্রাম করুন।
❏ স্বাস্থ্যসম্মত খাবার ও সবুজ শাকসবজি গ্রহণ করুন।
লেখক : স্তনরোগ বিশেষজ্ঞ সার্জন
ইউনিভার্সেল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল
(সাবেক আয়েশা মেমোরিয়াল হাসপাতাল)
https://www.youtube.com/watch?v=AoO_iZhlnGs&fbclid=IwAR3YHQ3alDWe7F8HJuHn_RQG0g5HYZ6qBWBydooV2_lgdFpB8WJ1sAFD14s