বহিষ্কৃত দুই মন্ত্রী হলেন-জোডি উইলসন রেবো এবং ফিলপট। এর আগে মন্ত্রিপরিষদ থেকে পদত্যাগ করেন ট্রুডো সরকারের আইনমন্ত্রী হিসেবে নিয়োজিত জোডি উইলসন রেবো এবং ট্রেজারি বোর্ডের সাবেক প্রধান ফিলপট। খবর বিবিসির
মঙ্গলবার ট্রুডো তাদের বহিষ্কারের ঘোষণা দিয়ে তিনি বলেন, সাবেক দুই মন্ত্রী দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছেন। আগামী অক্টোবরে অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় নির্বাচনে দল থেকে তাদের প্রার্থিতা নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
এসএনসি-লাভালিন কেলেঙ্কারির পর ট্রুডোর নেতৃত্ব নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছে। বিরোধী দল কনজারভেটিভসের নেতা অ্যান্ড্রু শ্যের বলেন, প্রধানমন্ত্রী দুই দুর্নীতিবাজকে সরিয়ে ন্যায়বিচারের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন।
উইলসন রেবো এবং ফিলপটের বিশ্বাসঘাতকতা নিয়ে এর আগে ট্রুডো একাধিকবার কথা বলেছেন। তিনি বলেন, এই দু’জনের সঙ্গে দলের আগের যে সম্পর্ক ছিল তা ভেঙে গেছে।
সম্প্রতি এসএনসি-লাভালিন সংক্রান্ত নতুন নথি সামনে আসার পরই চাপে রয়েছে ট্রুডো সরকার। আর এসব নথি প্রকাশ করেছেন তার সরকারেরই সাবেক আইনমন্ত্রী জোডি উইলসন-রেবোল্ড।
তিনি অভিযোগ করেছেন, দুর্নীতির তদন্ত থেকে সংস্থাটিকে রক্ষা করতে আদালতের বাইরে বোঝাপড়ার জন্য তাকে চাপ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। নিজের দাবি প্রমাণের জন্য এ সংক্রান্ত একটি ফোনকলের রেকর্ডিং ও অন্যান্য নথি কানাডার হাউস অব কমন্সে সংশ্লিষ্ট কমিটির কাছে জমাও দিয়েছেন ট্রুডোর সাবেক এই আইনমন্ত্রী।
ফোনকলের ১৮ মিনিটের রেকর্ডিংটিতে সাবেক আইনমন্ত্রী উইলসন রেবোল্ড এবং প্রিভি কাউন্সিলের কর্মকর্তা মাইকেল ওয়েরনিকের ফোনালাপ। তারা এসএনসি লাভালিনকে অভিযুক্ত করার বিষয়ে আলোচনা করছিলেন। আর ৪০ পৃষ্ঠার নথির মধ্যে রয়েছে এ বিষয়ক বিভিন্ন ই-মেইল ও টেক্সট ম্যাসেজের তথ্য।
এসএনসি-লাভালিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, লিবিয়াতে প্রকল্প পেতে দেশটির ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট মুয়াম্মর গাদ্দাফির ছেলে সাদি গাদ্দাফিকে তারা অনৈতিকভাবে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দিয়েছে।
প্রায় সাত বছর ধরে কানাডার পুলিশ এসএনসি-লাভালিনের কেলেঙ্কারির তদন্ত করছে। এ মাসের শুরুর দিকে কমন্সের জাস্টিস কমিটি এ সংক্রান্ত শুনানি সমাপ্ত ঘোষণা করে। কিন্তু জোডি উইলসন-রেবোল্ড আবারও শুনানির দাবি জানিয়ে নতুন নথি উপস্থাপন করেন।
এসএনসি-লাভালিন হলো কুইবেক প্রদেশকেন্দ্রিক। কুইবেকের প্রায় আট হাজার বাসিন্দা প্রতিষ্ঠানটিতে কাজ করেন।
ট্রুডোর দল লিবারেল পার্টি ক্ষমতায় আসার ক্ষেত্রে কুইবেক প্রদেশের জনগণের ভোট বড় ভূমিকা রাখবে। অভিযোগ রয়েছে, ট্রুডো কুইবেকের জনগণের ভোট নিতে সমঝোতার চেষ্টা করেছেন।
তবে ট্রুডো বেআইনি কিছু করেননি বলে দাবি করেছেন। তিনি বলেছেন, শুধু মানুষের কর্মসংস্থান রক্ষা করতেই তিনি অ্যাটর্নি জেনারেলকে চাপ দিয়েছেন।