বৃটিশ বাংলাদেশী হুজহু’র এগারোতম প্রকাশনা অনুষ্ঠিত

বর্ণাঢ্য আয়োজনে অনুষ্ঠিত হলো ‘ব্রিটিশ বাংলাদেশী হুজহু’র প্রকাশনা ও এওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠানের এগারোতম আসর। ৬ নভেম্বর মঙ্গলবার লন্ডনের অভিজাত ভেন্যু মেরিডিয়ান গ্র্যান্ড হলে অনুষ্ঠিত হয় এবারের আয়োজন।

নিজ নিজ পেশায় অসাধারণ সাফল্যের স্বাক্ষর রেখে এগিয়ে চলছেন, এমন ছয়জন ব্রিটিশ বাংলাদেশিকে এওয়ার্ড দিয়ে সম্মানিত করেছে বৃটিশ বাংলাদেশী হুজহু। বাংলা মিরর গ্রুপের এই প্রকাশনায় এবার সংযুক্ত হয়েছে  ২৬০ জন বৃটিশ বাংলাদেশীর সাফল্যগাঁথার কথা।

বৃটিশ বাংলাদেশী হুজহু যুক্তরাজ্যে বসবাসরত বংলাদেশীদের বিভিন্ন বিষয়ে উল্লেখযোগ্য অবদান ও উৎকর্ষের বিবরণ নিয়ে প্রকাশিত হয় প্রতি বছর। এ বছরও এর ব্যতিক্রম হয়নি। এবারের প্রকাশনায় সংযুক্ত হয়েছে নতুন নতুন প্রতিভার অবদানের কথা। নতুনত্ব সমৃদ্ধ করেছে এ প্রকাশনাকে। বৃটিশ-বাংলাদেশী তৃতীয় প্রজন্মকে যুক্ত করে হুজহু কলেবরে বৃদ্ধি পেয়েছে, আঙ্গিকেও শোভিত হয়েছে নতুনদের অবদানে।

হুজহুর সফলতা পুরানো নতুনের সমন্বয়ের মধ্য দিয়ে এসেছে। ২০০৮ সালে বৃটিশ-বাংলাদেশীদের হুজহু যাত্রা শুরু করেছিলো কমিউনিটির গুণিজনদের উল্লেখযোগ্য অবদানের কথা লিপিবদ্ধ করে তাদের স্মরণীয় করে রাখার জন্য। হুজহু বিশ্বস্ততার সাথে সে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে বললেন  হুজহুর বিগত সময়ের ও এবারের এওর্য়াডাপ্রাপ্তরা।

বৃটিশ বাংলাদেশী হুজহু থেকে সহজেই কমিউনিটির অবদানের বিষয়টি জানা যায়। বৃটেনে বাংলাদেশী কমিউনিটির প্রবীণ ও নবীনরা বৃটিশ কমিউনিটিতে যে ভূমিকা রেখে যাচ্ছেন তা সত্যি প্রশংসা করার মত বললেন আগত অতিথিরা ।
বৃটিশ বাংলাদেশী হুজহু এর প্রধান সম্পাদক আব্দুল করিম গণি বলেন, প্রথম থেকেই এই প্রকাশনা আমাদের কমিউনিটির নবীনদের উৎসাহ ও উদ্দীপনা যুগিয়ে আসছে। প্রবীণদের সাফল্যের কথার ভবিষ্যতে নবীনদের অবদান সুন্দরভাবে সংযোজিত হবে।

জনপ্রিয় উপস্থাপিকা নাদিয়া আলি ও রনি মির্জার পরিচালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন ব্যারিস্টার আনোয়ার বাবুল। এই আয়োজনের দীর্ঘ দশ বছরের পথচলা নিয়ে সূচনা বক্তব্য রাখেন প্রকাশনার নির্বাহী সম্পাদক সোহানা আহমেদ। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বৃটিশ এমপি, মেয়র, ব্যবসায়ী, রাজনীতিবিদ, সাংবাদিকসহ মূলধারা ও কমিউনিটির বিভিন্ন স্তরের প্রভাবশালী নেতৃবৃন্দ।

এবারের এওয়ার্ডপ্রাপ্তরা হলেন নবাব উদ্দিন, মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল ইয়াকুব, ডা. জাকি রেজওয়ানা আনোয়ার, মোহাম্মদ শাহাব উদ্দিন, মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ ওবিই জেপি, মোহাম্মদ সিদ্দিকুর রহমান।

জমকালো এই আয়োজনে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কনজারভেটিভ পার্টির ভাইস প্রেসিডেন্ট হ্যালেন গ্র্যান্ট এমপি, সাবেক ট্রান্সপোর্ট মিনিস্টার থেরেসা ভিলারস এমপি, লন্ডনস্থ বাংলাদেশ হাই কমিশনার ডেপুটি হাই কমিশনার মোহাম্মদ জুলকার নাইন, টাওয়ার হ্যামলেটস স্পিকার কাউন্সিলর আয়াস মিয়া, সুইনডন মেয়র কাউন্সিলর জুনাব আলী।

অনুষ্ঠানে নবাব উদ্দিনের হাতে এওয়ার্ড তুলে দেন হ্যালেন গ্র্যান্ট এমপি ও নিকিতা মুলচানদানী, মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল ইয়াকুবের হাতে এওয়ার্ড তুলে দেন ওয়েস্টমিনিস্টার কাউন্সিলের লিডার কাউন্সিলর এডাম হাগ ও বিমান বাংলাদেশ এর কান্ট্রি ম্যানেজার শফিকুল ইসলাম,  ডা. জাকি রেজওয়ানা আনোয়ার এর হাতে এওয়ার্ড তুলে দেন থেরেসা ভিলারস এমপি ও ইমন আহমেদ,  মোহাম্মদ শাহাব উদ্দিন এর হাতে এওয়ার্ড তুলে দেন মেয়র জুলহাস উদ্দিন ও চ্যানেল এস এর প্রতিষ্ঠাতা মাহী ফেরদাউস জলিল, মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ ওবিই জেপি এর হাতে এওয়ার্ড তুলে দেন টাওয়ার হ্যামলেটস স্পিকার কাউন্সিলর আয়াস মিয়া, সুরমান আহমেদ ও কাজী আরিফ এবং মোহাম্মদ সিদ্দিকুর রহমান এর হাতে এওয়ার্ড তুলে দেন কাউন্সিলর জুনাব আলী, আব্দুল মালিক ও মাহবুব মোর্শেদ।

এই পুরো আয়োজনে মূল সহযোগিতায় এবং সুস্বাদু খাবার পরিবেশনে ছিলো মেরিডিয়ান গ্র্যান্ড।

মিডিয়া পার্টনার হিসেবে ছিল, চ্যানেল এস, জনমত, জি টেন ডিজাইন এন্ড প্রিন্ট,  বাংলা পোস্ট, ওনলি রেড, ইমপ্রেস মিডিয়া, ইন্টারন্যাশনাল মিডিয়া লিমিটেড। পুরো অনুষ্ঠানে একমাত্র চ্যারিটি পার্টনার হিসেবে রয়েছে – ইকরা ইন্টারন্যাশনাল।

এছাড়াও সহযোগিতায় ছিল- বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স, স্টারলিং এককোয়ার্ড লিগ্যাল, জেএমজি এয়ার কার্গো, এপেক্স একাউন্টেন্সি, প্রাইম এস্টেট এজেন্ট, মাহবুব এন্ড কো, ব্লুস্টোন ফাইন্যান্স, বিজনেস সাপোর্ট এন্ড কোং একাউটেন্টস লিমিটেড,  জেনারেল অটো, ইউরোশিয়া ফুড সার্ভিস, হোসাইন ট্রেভেলস, লন্ডন টি এক্সেঞ্জ, পর্টম্যান স্টেইট এজেন্ট,  কেয়ারওয়ার্ল্ড লিমিটেড, লিটলস্টোন ক্রাউন সলিসিটর, ইউনিসফ্ট টেকনোলজি, ব্লুস্টোন ফাইন্যান্স, প্রেস্টিজ কনস্ট্রাকশন গ্রুপ, আল কিবলা হজ্ব এন্ড ওমরা ট্রাভেলস এন্ড ট্যুরস, লন্ডন টাইগার, প্রবাসী পল্লী,  হোম ওয়ারেন্টি, সিটিগেইট একাউন্টেন্সি, গো ফোন, ইন্ডিগো, মিড নাইট গার্ডেন,  এম আর সলিসিটরস, আলেক্সাজান্ডার হ্যামিল্টন, আইকনিক গ্যালেজিং, ভ্যানটেজ এক্সসিডেন্ট ম্যানেজম্যান্ট।

অনুষ্ঠানের ফাঁকে ফাঁকে চলে বর্ণাঢ্য আয়োজনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সঙ্গীত পরিবেশন করেন বিলেতের শিল্পী সাদিয়া আফরোজ চৌধুরী, শতাব্দী কর।