পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিরার রাতে আন্ধেরিতে ১৯ বছরের মোজাম্মেল সঈদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন মানসী। আর সেখানেই তীব্র বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়েন দু’জনে। প্রথম থেকেই পুলিশের সন্দেহের তির ছিল মোজাম্মেলের দিকে। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, মোজাম্মেলই দড়ি দিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করেছেন মানসীকে। যদিও এই মোজাম্মেলের সঙ্গে মানসীর আদতে কী সম্পর্ক তা নিয়ে কিছুই জানানো হয়নি পুলিশের পক্ষ থেকে।
পুলিশের তরফে আরও জানানো হয়েছে যে, মানসীর দেহ বাক্সবন্দি করার পরেই বিমানবন্দরের দিকে একটি ক্যাব বুক করেন মোজাম্মেল। মাঝপথে ক্যাব ড্রাইভারকে মাইন্ডস্পেসের দিকে গাড়িটি ঘুরিয়ে দিতে বলেন তিনি। মাইন্ডস্পেস জায়গাটা আসলে ঝোপঝাড় আর ম্যানগ্রোভে ভর্তি।
ওখানেই স্যুটকেসটা পুঁতে রেখেছিল অভিযুক্ত, জানিয়েছেন পুলিশ কর্তারা। আর তা করতে গিয়েই ক্যাব ড্রাইভারের সঙ্গে ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েন মোজাম্মেল। ঠিক তখনই ক্যাবটি ছেড়ে একটি অটো রিকশা ধরে সে। সেই সময়েই পুলিশকে ফোন করে বিষয়টা জানান ওই ক্যাব ড্রাইভার।
পুলিশের দাবি, মানসীকে যে খুন করেছে সে কথা ইতিমধ্যেই পুলিশের কাছে স্বীকার করে নিয়েছে মোজাম্মেল। সেই ঝোপঝাড়ের ভিতর থেকেই বাক্সবন্দি মানসীর দেহ উদ্ধার করেছেন পুলিশ। আর সঙ্গে সঙ্গেই ময়নাতদন্তের জন্যও মানসীর দেহ পাঠিয়ে দেওয়া হয়। মোজাম্মেলকে ৩০২ ধারায় গ্রেফতার করেছে পুলিশ।