‘রাজপথেই ঈদ করব’

ঈদুল ফিতরের আগে এমপিওভুক্তির সুনির্দিষ্ট ঘোষণা না এলে রাজপথে ঈদ করার ঘোষণা দিয়েছেন নন-এমপিও শিক্ষক-কর্মচারীরা। পুলিশি বাধা উপেক্ষা করে এমপিওর দাবিতে গতকাল বুধবার চতুর্থ দিনের মতো জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন শিক্ষকরা। নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী ফেডারেশনের নেতারা এই আন্দোলন করছেন।

জানা যায়, গতকাল সকাল ১০টা থেকে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে থাকেন নন-এমপিও শিক্ষক-কর্মচারীরা। সকাল সাড়ে ১১টার দিকে পুলিশ শিক্ষকদের প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে ঠেলে সরিয়ে দেয়। এ সময় তিনজন নারী শিক্ষকসহ পাঁচজনকে আটক করে পুলিশ। তবে কিছু সময় পর দুজন শিক্ষককে ছেড়ে দেয়। এ সময় পুলিশের পিটুনিতে তিনজন শিক্ষক আহত হন বলে জানিয়েছেন শিক্ষক নেতারা। আর দুপুর ২টার দিকে অন্য তিনজনকেও ছেড়ে দেয় পুলিশ।

আগামী অর্থবছরের বাজেটে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির সুনির্দিষ্ট ঘোষণা না থাকায় গত রবিবার থেকে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন শুরু করেন শিক্ষকরা। কিন্তু গত চার দিনের প্রতিদিনই শিক্ষকদের আন্দোলনে চড়াও হয়েছে পুলিশ। শিক্ষকরা কিছু সময় প্রেস ক্লাবের সামনে আবার কিছু সময় প্রেস ক্লাবের বিপরীত পাশে অবস্থান করে তাঁদের আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন।

সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ ড. বিনয় ভূষণ রায় বলেন, ‘এমপিওভুক্তির সুনির্দিষ্ট বক্তব্য বা গেজেট প্রকাশের ঘোষণা না এলে শিক্ষক-কর্মচারীরা রাজপথে পবিত্র ঈদুল ফিতর পালন করবেন। শিক্ষামন্ত্রী ১০ বছর ধরে বলে আসছেন বাজেটে বরাদ্দ থাকলে এমপিওভুক্ত করা হবে। অথচ নতুন করে আবারও মন্ত্রী মিথ্যাচার করছেন।’ তিনি বলছেন, এমপিওভুক্তির জন্য বাজেটে বরাদ্দ জরুরি নয়।

শিক্ষক নেতারা বলেন, ‘শিক্ষামন্ত্রীর আশ্বাসে আমাদের বিশ্বাস নেই। তিনি অনেকবারই আশ্বাস দিয়েছেন। উনার ইচ্ছা নেই এমপিও করার। এ কারণে সোমবার শিক্ষামন্ত্রী আমাদের বাড়ি ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানালে আমরা তা প্রত্যাখ্যান করেছি।’

ফেডারেশনের সভাপতি অধ্যক্ষ গোলাম মাহমুদুন্নবী ডলার বলেন, ‘এমপিওভুক্তির দাবিতে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চালিয়ে গেলেও পুলিশ প্রেস ক্লাবের সামনে বসতে দিচ্ছে না। তারা বলছে সরকারের অনুমতি নিয়ে আসতে। কিন্তু আন্দোলনের জন্য সরকার অনুমতি কাউকে দেয় না। তবে পুলিশ যতই বাধা দিক না কেন, আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা ঘরে ফিরে যাব না। ইফতার আমরা রাজপথে করছি, ঈদও রাজপথে করব। আমাদের আন্দোলন চলবে।’