সোশ্যাল মিডিয়ায় দর্শকদের প্রাথমিক প্রতিক্রিয়ায় উল্লাস কম, বরং সমালোচনার ধারই বেশি। বেশিরভাগ দর্শক ছবিটি দেখে নাকি হতাশ হয়েছেন। কারও মনে হয়েছে, সাম্প্রতিক অতীতে আমির খানের সবচেয়ে দুর্বল ছবি। আবার কেউ বলছেন, ট্রেলার দেখেই বোঝা গিয়েছিল ছবিটি একেবারেই ভাল হবে না। রিলিজের পর তারই প্রমাণ পাওয়া গেল।
রিলিজের পর সোশ্যাল ওয়ালে আমিরকে নিয়ে বিভিন্ন মিমও শেয়ার হচ্ছে। তাঁর ‘পিকে’ ছবির ডায়লগ ছিল, ‘হমকো ঘর জানা হ্যায় ভগবান…।’ সেই ছবিটি ব্যবহার করে অনেকে বলছেন, ‘ঠগস অব হিন্দোস্তান’ দেখতে দেখতে নাকি দর্শকের ওই অবস্থা হয়েছিল। কেউ বা অমিতাভের মিম ব্যবহার করছেন। যেখানে দেখা যাচ্ছে, ‘কৌন বনেগা ক্রোড়পতি’র সেটে অমিতাভ বলছেন, ‘আপনাদের কাছ থেকে বিদায় নেওয়ার সময় এসে গিয়েছে।’ অর্থাত্ দুই মহারথীরই সমালোচনা শুরু হয়েছে।
যদিও দর্শকদের রিভিউতে এই মিলের প্রসঙ্গ এখনও পর্যন্ত আসেনি। বরং আমিরের সমালোচনায় চলে এসেছে শাহরুখ খানের নাম। কী ভাবে? কিং খানের আসন্ন সিনেমার নাম ‘জিরো’। কেউ কেউ সেই ছবির পোস্টার ব্যবহার করে লিখেছেন, ‘আসলে ঠগস অব হিন্দোস্তান-এর রেটিং হল জিরো।’ এ যেন প্রকারান্তরে বলি বাদশা ছবিরই প্রচার হল বলে মনে করছেন দর্শকদের একটা বড় অংশ।
সূত্রের খবর, ১৮৩৯-এ প্রকাশিত ফিলিপ ম্যাডোসের লেখা বই ‘কনফেশনস্ অফ আ থাগ’ অবলম্বনে লেখা হয়েছে ছবির চিত্রনাট্য। আমিরের চরিত্রটি অ্যান্টাগনিস্ট। এ ছাড়াও ক্যাটরিনা কইফ, ফতিমা সানা শেখের মতো শিল্পীর অভিনয়ে সমৃদ্ধ এই ছবি। আদৌ এ ছবি সমালোচনার যোগ্য, নাকি ভাল লাগারও কোনও উপাদান রয়েছে, তা জানার জন্য কি একবার দেখবেন ‘ঠগস অব হিন্দোস্তান’?