‘ডিয়ার শাহিন, ক্ষমা করো’

শাহিন ভাট ও আলিয়া ভাট

‘তোমার বইটা পড়েছি। এরপর তোমাকে কিছু না বলে আর থাকতে পারছি না। যখন পড়েছি, দেখেছি তুমি কত সহজে নিজের কথাগুলো বলছ! আর তোমাকে একটা চিঠি লিখতে গিয়ে মনে হচ্ছে, আমি যুদ্ধ করছি। একটা সময় তুমি অবসাদে ভুগেছ, কিন্তু আমি বুঝতে পারিনি। তোমার নীরবতাগুলো ধরতে পারিনি। আমাকে ক্ষমা করো।’ বললেন আলিয়া ভাট। ইনস্টাগ্রামে একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন তিনি।

বলিউডের এ সময়ের অন্যতম জনপ্রিয় তারকা আলিয়া ভাটের বোন শাহিন ভাট একটি বই লিখেছেন। নাম ‘আই হ্যাভ নেভার বিন আন (হ্যাপিয়ার)’। বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস উপলক্ষে বইটি বেরিয়েছে।

আলিয়া ভাট সম্প্রতি তাঁর বোনের ছবি ইনস্টাগ্রামে দিয়ে জানিয়েছেন, অনিদ্রা আর ডিপ্রেশন থেকে মুক্তি পেয়েছেন শাহিন ভাট। ডিপ্রেশনের ফলে আত্মহত্যা করার দিকে পর্যন্ত ঝুঁকেছিলেন তিনি। এরপর বোনের প্রশংসা করে আলিয়া ভাট জানিয়েছেন, তাঁর বোন ১২ বছর বয়স থেকে ডিপ্রেশনে ভুগছেন। আর তা ছিল তাঁর জীবনের একটি অন্ধকার অধ্যায়। কিন্তু এখন শাহিন নিজের মনের কথা খোলাখুলি বলেছেন এবং কোনো রকম ভণিতা ছাড়াই বলেছেন।

প্রখ্যাত চিত্র পরিচালক ও প্রযোজক মহেশ ভাটের মেয়ে শাহিন ভাট তাঁর নিজস্ব ব্লগে লিখেছেন, ‘হতাশায় জীবন কাটিয়েছি ১২ বছর বয়স থেকে। একাধিকবার আত্মহত্যার চেষ্টা করেছি। অবিশ্বাস্য যন্ত্রণাদায়ক জীবন থেকে পালাতে চেয়েছি। কিন্তু তা থেকে বের হওয়ার উপায় জানা ছিল না।’

এবার তিনি ‘আই হ্যাভ নেভার বিন আন (হ্যাপিয়ার)’ বইয়ে একদিকে যেমন লিখেছেন অবসাদ থেকে মুক্তি পাওয়ার কথা, পাশাপাশি লিখেছেন নিজের জীবনের গল্প।