ভারতের শীর্ষস্থানীয় এক গণমাধ্যম জানিয়েছে, জন্ম থেকেই তৈমুর তারকা। এখন সে মিডিয়ার ডাকে ‘হাই’, ‘বাই’ ইত্যাদি বলতেও শিখে গেছে। এতে আদরের ছোটে নবাবের জনপ্রিয়তা আরও বাড়ছে। আর এটাই তার তারকা মা-বাবাকে বিড়ম্বনায় ফেলেছে।
তবে সাইফ ও কারিনা এরই মধ্যে সংবাদমাধ্যমের কাছে অনুরোধ করেছেন, তৈমুরকে বিরক্ত না করতে। তারা চান তৈমুরের বড় হয়ে ওঠাটা যেন স্বাভাবিক হয়। এই অবস্থায় তারা দুজনেই চাইছেন তৈমুরকে বোর্ডিংয়ে পাঠিয়ে দিতে। তবে এখনই নয়, তৈমুরের কৈশোর শুরু হতে না হতেই তাকে তারা পাঠাতে চান বোর্ডিংয়ে।
কিছুদিন আগেই এক সাক্ষাৎকারে সাইফ জানিয়ে দিয়েছেন, ‘হয়তো আমি ওকে বোর্ডিং স্কুলে পাঠিয়ে দেব, যখন ওর বয়স হবে ১৩।’ তিনি চান বড় হওয়ার প্রথম ধাপেই পৃথিবীটাকে চিনতে শিখুন তার আদরের সন্তান।
অন্য একটি সাক্ষাৎকারে কারিনাও জানিয়েছেন এমন কথা। মিডিয়াকে কাঠগড়ায় তুলে তিনি বলেছেন, ‘ওরা আর কোনো উপায় রাখেনি। অবশ্যই মা হিসেবে ওকে দূরে পাঠাতে গেলে আমি মরেই যাব!’ তবে শেষ পর্যন্ত বাস্তব থেকে পালাতে চান না তারা, জানাচ্ছেন কারিনা।
তৈমুরকে বাড়িতে আটকে রাখার কোনো ইচ্ছে নেই, সেকথাও জানিয়েছেন কারিনা। তিনি বলেছেন, ‘‘আমি এটা করতে পারব না। আমি ওকে আটকে রাখতে চাই না। আমি চাই ও উড়ে বেড়াক স্বাধীন হয়ে।’’
তৈমুরকে নিয়ে আরও নিশ্চিন্ত হতে চান এই তারকা দম্পতি। তারা চান, সেলেব-পুত্র নয়, আর পাঁচটা সাধারণ শিশুর মতোই বড় হয়ে উঠুক তৈমুর, এই মুহূর্তে সেই প্রার্থনাতেই মগ্ন তার সাইফ-কারিনা।