তৈমুরকে মুসলমান দানবের সঙ্গে তুলনা, বিতর্ক তুঙ্গে

বোধশক্তি তৈরি হওয়ার আগেই স্পটলাইটে থেকে দমবন্ধ অবস্থা তৈমুর আলি খানের। যদিও তাকে নিয়ে যে এত হইচই, সে বিষয় তৈমুর অবহিত নয়। মাত্র দু’বছর বয়সেই ছেলের খ্যাতির বিড়ম্বনা নিয়ে কপালে ভাঁজ পড়েছে সেফ আলি খান ও করিনা কপূর খানের। এ বার সেই চিন্তা কয়েক গুণ বাড়িয়ে দিলেন ‘স্বরাজ্য’ নামক একটি ম্যাগাজিনের লেখিকা শেফালি বৈদ্য।

সম্প্রতি কেরলের একটি দোকানে বিক্রি হয় অবিকল তৈমুরের আদলে তৈরি একটি পুতুল। এমনকী, পুতুলটির সেই প্যাকেটেও তৈমুর নাম লেখা। তৈমুর পুতুলের জন্য ওই খেলনা প্রস্তুতকারক দোকানদারকে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন সেফরিনা।

সেই পুতুলকে ঘিরেই হিন্দুত্ববাদী শেফালি বৈদ্য টুইট করেন, ‘‘এ ভাবেই এক মুসলমান ধর্মান্ধ দানবের ভাবমুর্তি পরিষ্কার করার চেষ্টা করা হচ্ছে। যে এক সময়ে কোটি কোটি মানুষকে হত্যা করেছিল, মহিলা ও শিশুদের ধর্ষণ করেছিল এবং তাদের মাথার খুলি দিয়ে শুধুমাত্র বিনোদনের জন্য টাওয়ার তৈরি করত, তাকেই একটি মিষ্টি আদুরে পুতুলের রূপ দেওয়া হয়েছে। অবোধ ‘য়িন্দু’-রা (ব্যঙ্গ করে) এই পুতুল কিনে মেয়েদের দেবে। এখন এই পুতুলটি কলকাতার এক খেলনার দোকানে।’’

তৈমুরের নামকরণ হওয়ার পরেই কট্টর হিন্দুত্ববাদীরা সোশ্যাল মিডিয়ায় ছোট্ট শিশুকে বিঁধতে থাকে। আবারও তার পুনরাবৃত্তি দেখে চিন্তিত সেফরিনা।

প্রসঙ্গত, তৈমুর পুতুল নিয়ে বাড়াবাড়ি দেখে এবার শর্মিলা ঠাকুরও আসরে নেমেছেন। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা গিয়েছে, এই বয়সে তৈমুরকে নিয়ে এত আলোচনা কীভাবে রোখা যায় তা নিয়ে চিন্তিত তিনি। শর্মিলা চান, আর পাঁচজন শিশুর মতোই বেড়ে উঠুক সে।