সিনেমা না ওয়েব সিরিজ, কিছুই জানি না: তিশা

‘ইন্দ্রবালা’ কী?
আমি এখনো এই প্রজেক্টের ব্যাপারে তেমন কিছুই জানি না। এখনো হাতে স্ক্রিপ্ট পাইনি। পরিচালক শুধু বলেছেন, ইন্দ্রবালা নামের একটা চরিত্রে আমাকে নিয়ে কাজ করতে চান। এটা কি সিনেমা না ওয়েব সিরিজ, এখনো কিছুই জানি না। এতটুকু আলোচনা হওয়ার পর তিনি কলকাতায় চলে যান। সেখান থেকে ফেরার পর চূড়ান্ত আলাপ হবে বলে জানিয়েছেন। ফেসবুকে তিনি স্ট্যাটাস দেওয়ার পর সংবাদকর্মীরা আমার সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। তখন বিষয়টা সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে পারি।

নতুন কী কাজ করছেন?
কয়েক বছর পর স্টেজ শোতে পারফর্ম করব। এ সপ্তাহে ঢাকার বসুন্ধরা আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টারে এই পরিবেশনা হবে। দেশের একটি বড় প্রতিষ্ঠানের বার্ষিক এই আয়োজনে আমার সঙ্গে থাকবেন চিত্রনায়ক ইমন। চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় গানের সঙ্গে আমরা দুজন ১০ মিনিটের একটি পরিবেশনায় অংশ নেব।

আপনি কাজটি করবেন?
পরিচালক অনন্য মামুনের ‘অস্তিত্ব’ ছবিতে অভিনয় করে আমি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে সেরা অভিনয়শিল্পীর পুরস্কার পেয়েছি। আমি অভিনয়শিল্পী, কাজ করার ইচ্ছা অবশ্যই আছে। কিন্তু পরিচালকের সঙ্গে বসে পরবর্তী আলাপ না হওয়া পর্যন্ত চূড়ান্ত কিছু বলতে পারছি না। এটা কি নাটক, সিনেমা, নাকি ওয়েব সিরিজ, তাও বুঝতে পারছি না।

স্টেজ শো কেন নিয়মিত করছেন না?
সাত বছর পর স্টেজ শো করছি। নাটকে অভিনয় নিয়ে ভীষণ ব্যস্ত থাকতে হয়। দম ফেলার সময় পাইনি। তাই স্টেজ শোর প্রচুর প্রস্তাব থাকা সত্ত্বেও করতে পারিনি। ইদানীং বিশেষ দিবস যেমন—ঈদ, পয়লা বৈশাখ, ভালোবাসা দিবসের বাইরে নাটকের কাজ করছি না। তাই কিছুটা সময় হাতে পাই। এমনিতে স্টেজ শোর জন্য প্রস্তুতির একটা ব্যাপার থাকে। এখন তা নিতে পারব, তাই এই শো করছি। আমি অবশ্য স্টেজের অনুষ্ঠানের মধ্যে ‘মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার’ অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেছি।

 

এখন নিয়মিত স্টেজ শো করবেন?
হয়তো পারব। খুব ভালো আয়োজন হলে করব। তবে নিয়মিত করতে হয়তো পারব না।

মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর ‘ডুব’ অস্কারের ‘বিদেশি ভাষার ছবি’ বিভাগের জন্য বাংলাদেশ থেকে মনোনীত হয়েছে। আপনার অনুভূতি বলুন।
একজন অভিনয়শিল্পীর কোনো কাজ যখন দেশের দর্শকের পাশাপাশি বাইরের দেশের দর্শকের দেখার সুযোগ তৈরি হয়, সেটা অবশ্যই আনন্দের অনুভূতি। তবে এটি কিন্তু আমার প্রথম সিনেমা নয়, এর আগে আমার ‘থার্ড পারসন সিঙ্গুলার নাম্বার’ আর ‘টেলিভিশন’ অস্কারে ‘বিদেশি ভাষার ছবি’ বিভাগের জন্য বাংলাদেশ থেকে পাঠানো হয়। এসব ঘটনা আমাদের মধ্যে আশা জাগাচ্ছে, স্বপ্ন দেখাচ্ছে। ‘ডুব’ নিয়ে বলব, এই ছবি নিয়ে অনেক কিছুই হলো। অনেক অর্জন, অনেক বিসর্জন—কিন্তু সবশেষে ছবিটি সবাই পছন্দ করেছেন, প্রশংসা করেছেন, বিভিন্ন দেশের বড় বড় উৎসব ঘুরে এসেছে। এখন অস্কারে যাচ্ছে, জানি না ভবিষ্যতে কী হবে। পুরো ব্যাপারটা আমি খুব উপভোগ করছি।