গরমবান্ধব কিছু খাবার
গরমকালে ঘরে বা বাইরে থাকলে কী রকম খাবার গ্রহণ করা উচিত, দিনে কতক্ষণ ব্যায়াম বা হাঁটাচলা করা উচিত—এসব বিষয়ে বিশেষভাবে খেয়াল রাখা উচিত। তবে কিছু খাবারদাবার গরমকালে স্বস্তি এনে দেয়।
গরমবান্ধব কিছু খাবার ফলমূল
তরমুজ : প্রতিদিন দুই কাপ তরমুজ খেলে শরীরে ভিটামিন ‘এ’-এর চাহিদা মেটানো সম্ভব। গরমে তরমুজ খেলে শরীর যেমন ঠাণ্ডা থাকে, তেমনি ত্বক উজ্জ্বল ও সুস্থ থাকে। তরমুজে রয়েছে ভিটামিন ‘বি’ কমপ্লেক্স ও ভিটামিন ‘সি’, যা শক্তি তৈরিতে সাহায্য করে।
ডাব : চমৎকার শক্তিবর্ধক স্বাস্থ্যকর পানীয় ডাব। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ পটাসিয়াম ও অন্যান্য খনিজ লবণ, ক্লোরাইড, ক্যালসিয়াম, সোডিয়াম, ফসফরাস ও আয়রন। ডাবের পানি দেহের স্নায়ুবিক জটিলতা, অন্ত্রের তারল্য ও কোষের জলীয় শোষণের সমতা রক্ষার্থে ভালো কাজ করে।
আনারস : বিটা ক্যারোটিন নামক অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ছাড়াও আনারসে রয়েছে ভিটামিন, জিংক, কপার, ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম, আয়রন ইত্যাদি উপাদান। এতে প্রচুর জলীয় উপাদান থাকে বলে গরমে আনারস খাওয়া যেতে পারে।
শসা : এতে যথেষ্ট পরিমাণ খনিজ লবণ, ভিটামিন ও জলীয় উপাদান, খাদ্য-আঁশ রয়েছে। কোষ্ঠকাঠিন্য রোধে শসা ভালো কাজ করে। গরমে শরীর ঠাণ্ডা রাখতে শসার সালাদ ও রায়তা খাওয়া যেতে পারে।
পানীয়জাতীয়
পানি বা শরবত : গরমে ডিহাইড্রেশন বা পানিশূন্যতা সমস্যা বেশি দেখা যায় বলে এই সময় দিনে অন্তত দুই থেকে আড়াই লিটার পানি পান করা উচিত। তবে রোদ থেকে এসে অতিরিক্ত ঠাণ্ডা পানি পান করা উচিত নয়। এতে ঠাণ্ডা লেগে যেতে পারে।
এ ছাড়া শরীর ঠাণ্ডা রাখতে পান করা যেতে পারে লেবুর শরবত, গ্লুকোজ, তোকমা ভেজানো শরবত, কাঁচা আমের শরবত, বেলের শরবত ইত্যাদি।
শাকসবজি
লাউ, ঝিঙা, ঢেঁড়শ, পটোল, সবুজ শাক, চালকুমড়া, পাকা কুমড়া, শজিনার ডাঁটা, অঙ্কুরিত ছোলা ইত্যাদিতে প্রচুর পরিমাণ ক্যালসিয়াম, লৌহ, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও জলীয় উপাদান রয়েছে বিধায় তা গরমকালে শরীরকে ভালো রাখতে সাহায্য করে।
এ ছাড়া তেতোজাতীয় খাবার যেমন—করলা, নিমপাতা, শিউলিপাতা ইত্যাদি মাঝেমধ্যে খেলে হজমে সহায়তার পাশাপাশি রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ কমাতে সাহায্য করে। করলায় পলিপেপটাইড পি নামের এক ধরনের উপাদান রয়েছে, যা ইনসুলিনের মতো কাজ করতে সাহায্য করে।
গরমবান্ধব অন্যান্য খাবার
দই : প্রথম শ্রেণির প্রোটিন দই। এতে রয়েছে অত্যাবশ্যকীয় অ্যামিনো এসিড। খাওয়ার এক ঘণ্টা পর দুধের মাত্র ৩২ শতাংশ হজম হলেও দইয়ের ৯০ শতাংশই হজম হয়। শরীর ঠাণ্ডা রাখতে এই গরমে দই বেশ কার্যকরী। চিঁড়া, মুড়ি ও ওটমিলের সঙ্গে কিংবা ফলের সঙ্গে দই খাওয়া যেতে পারে।
সতর্কতা
♦ গরমে তেল, ঝাল ও মসলাজাতীয় খাবার কম খাওয়া উচিত।
♦ প্রোটিনের চাহিদা পূরণে মাছ, ডাল ইত্যাদি খেতে পারেন। তবে মাংস পরিমাণে কম খাওয়া ভালো।
♦ একবার বেশি পরিমাণে না খেয়ে কম করে বারবার খান।
♦ ফাস্ট ফুড ও কোমল পানীয় বাদ দেওয়ার চেষ্টা করুন।
লেখক : পুষ্টিবিদ, ডায়েট প্লানেট অ্যান্ড নিউট্রিশন কনসালটেন্সি, লালমাটিয়া, ঢাকা।
গরমকালে ঘরে বা বাইরে থাকলে কী রকম খাবার গ্রহণ করা উচিত, দিনে কতক্ষণ ব্যায়াম বা হাঁটাচলা করা উচিত—এসব বিষয়ে বিশেষভাবে খেয়াল রাখা উচিত। তবে কিছু খাবারদাবার গরমকালে স্বস্তি এনে দেয়।
গরমবান্ধব কিছু খাবার ফলমূল
তরমুজ : প্রতিদিন দুই কাপ তরমুজ খেলে শরীরে ভিটামিন ‘এ’-এর চাহিদা মেটানো সম্ভব। গরমে তরমুজ খেলে শরীর যেমন ঠাণ্ডা থাকে, তেমনি ত্বক উজ্জ্বল ও সুস্থ থাকে। তরমুজে রয়েছে ভিটামিন ‘বি’ কমপ্লেক্স ও ভিটামিন ‘সি’, যা শক্তি তৈরিতে সাহায্য করে।
ডাব : চমৎকার শক্তিবর্ধক স্বাস্থ্যকর পানীয় ডাব। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ পটাসিয়াম ও অন্যান্য খনিজ লবণ, ক্লোরাইড, ক্যালসিয়াম, সোডিয়াম, ফসফরাস ও আয়রন। ডাবের পানি দেহের স্নায়ুবিক জটিলতা, অন্ত্রের তারল্য ও কোষের জলীয় শোষণের সমতা রক্ষার্থে ভালো কাজ করে।
আনারস : বিটা ক্যারোটিন নামক অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ছাড়াও আনারসে রয়েছে ভিটামিন, জিংক, কপার, ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম, আয়রন ইত্যাদি উপাদান। এতে প্রচুর জলীয় উপাদান থাকে বলে গরমে আনারস খাওয়া যেতে পারে।
শসা : এতে যথেষ্ট পরিমাণ খনিজ লবণ, ভিটামিন ও জলীয় উপাদান, খাদ্য-আঁশ রয়েছে। কোষ্ঠকাঠিন্য রোধে শসা ভালো কাজ করে। গরমে শরীর ঠাণ্ডা রাখতে শসার সালাদ ও রায়তা খাওয়া যেতে পারে।
পানীয়জাতীয়
পানি বা শরবত : গরমে ডিহাইড্রেশন বা পানিশূন্যতা সমস্যা বেশি দেখা যায় বলে এই সময় দিনে অন্তত দুই থেকে আড়াই লিটার পানি পান করা উচিত। তবে রোদ থেকে এসে অতিরিক্ত ঠাণ্ডা পানি পান করা উচিত নয়। এতে ঠাণ্ডা লেগে যেতে পারে।
এ ছাড়া শরীর ঠাণ্ডা রাখতে পান করা যেতে পারে লেবুর শরবত, গ্লুকোজ, তোকমা ভেজানো শরবত, কাঁচা আমের শরবত, বেলের শরবত ইত্যাদি।
শাকসবজি
লাউ, ঝিঙা, ঢেঁড়শ, পটোল, সবুজ শাক, চালকুমড়া, পাকা কুমড়া, শজিনার ডাঁটা, অঙ্কুরিত ছোলা ইত্যাদিতে প্রচুর পরিমাণ ক্যালসিয়াম, লৌহ, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও জলীয় উপাদান রয়েছে বিধায় তা গরমকালে শরীরকে ভালো রাখতে সাহায্য করে।
এ ছাড়া তেতোজাতীয় খাবার যেমন—করলা, নিমপাতা, শিউলিপাতা ইত্যাদি মাঝেমধ্যে খেলে হজমে সহায়তার পাশাপাশি রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ কমাতে সাহায্য করে। করলায় পলিপেপটাইড পি নামের এক ধরনের উপাদান রয়েছে, যা ইনসুলিনের মতো কাজ করতে সাহায্য করে।
গরমবান্ধব অন্যান্য খাবার
দই : প্রথম শ্রেণির প্রোটিন দই। এতে রয়েছে অত্যাবশ্যকীয় অ্যামিনো এসিড। খাওয়ার এক ঘণ্টা পর দুধের মাত্র ৩২ শতাংশ হজম হলেও দইয়ের ৯০ শতাংশই হজম হয়। শরীর ঠাণ্ডা রাখতে এই গরমে দই বেশ কার্যকরী। চিঁড়া, মুড়ি ও ওটমিলের সঙ্গে কিংবা ফলের সঙ্গে দই খাওয়া যেতে পারে।
সতর্কতা
♦ গরমে তেল, ঝাল ও মসলাজাতীয় খাবার কম খাওয়া উচিত।
♦ প্রোটিনের চাহিদা পূরণে মাছ, ডাল ইত্যাদি খেতে পারেন। তবে মাংস পরিমাণে কম খাওয়া ভালো।
♦ একবার বেশি পরিমাণে না খেয়ে কম করে বারবার খান।
♦ ফাস্ট ফুড ও কোমল পানীয় বাদ দেওয়ার চেষ্টা করুন।
লেখক : পুষ্টিবিদ, ডায়েট প্লানেট অ্যান্ড নিউট্রিশন কনসালটেন্সি, লালমাটিয়া, ঢাকা।
https://www.youtube.com/watch?v=Geg0SPadJxM