১
স্থানান্তর: স্ট্রোকে আক্রান্ত রোগীকে হুইলচেয়ার, বিছানা, কমোডে স্থানান্তরের সময় এবং হাসপাতাল কিংবা চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়ার সময় সঠিক পদ্ধতি অবলম্বন না করলে রোগী আরও দুর্বল হয়ে পড়ে, অস্বস্তি ও খুব ব্যথা অনুভব করে, এমনকি শরীরের অস্থিসন্ধি থেকে হাড় ছুটে যেতে পারে। এ ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে এবং কোমর ও কাঁধে পর্যাপ্ত সাপোর্ট দিতে হবে।
২
রোগীর মনোভাব: স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার পর রোগীর মস্তিষ্ক-মন সুস্থ ও স্বাভাবিক থাকে না। তাই অস্বাভাবিক আচরণ ও রাগারাগি করতে পারে। এ ক্ষেত্রে বিচলিত না হয়ে রোগীর মনোভাব বুঝে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চলতে হবে। রোগীকে মানসিক সমর্থন দেওয়া এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি জরুরি।
৩
কম পানি পান: অধিকাংশ রোগীর ক্ষেত্রেই দেখা যায়, পরিমাণে পানি কিংবা তরল খাবার না খাওয়ার কারণে রোগীর প্রস্রাবের রং পরিবর্তন হয়ে যায়, এমনকি সংক্রমণও হতে পারে। এ ধরনের জটিলতা এড়াতে রোগীকে অবশ্যই পর্যাপ্ত পানি পান করাতে হবে। সেই সঙ্গে ডাবের পানি, চিড়া, ইসপগুলের ভুসি খাওয়ানো যেতে পারে।
৪
বিছানায় এপাশ-ওপাশ করানো: স্ট্রোকের পর সাধারণত রোগীকে বিছানায় দীর্ঘ সময় শুয়ে থাকতে হয়। এ ক্ষেত্রে এক অবস্থানে দীর্ঘ সময় ধরে থাকলে চাপজনিত ঘা, অস্বস্তি, অনুভূতিহীনতা দেখা দিতে পারে। এ জন্য রোগীকে অবশ্যই দুই ঘণ্টা পরপর ডানে, বাঁয়ে, ও চিত হয়ে শুইয়ে দিতে হবে। পাশ পরিবর্তনের সময় অবশ্যই বালিশ দিয়ে সাপোর্ট দিতে হবে, যাতে রোগীর বিশ্রাম কিংবা ঘুম আরামদায়ক হয়।
৫
পরিষ্কার–পরিচ্ছন্নতা: রোগীকে নিয়মিত গোসল করাতে হবে। গোসল করানো সম্ভব না হলে অবশ্যই পুরো শরীর ভেজা কাপড় দিয়ে মুছে দিতে হবে। অপরিচ্ছন্নতা ও অপরিষ্কার অবস্থা থেকে নতুন রোগের সংক্রমণ হতে পারে। দিনে দুইবার করে হাতে ও পায়ে অলিভওয়েল কিংবা লোশন ব্যবহার করা যেতে পারে, যাতে ত্বক ভালো থাকবে। মাথায় প্রয়োজনে শ্যাম্পু ও তেল ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচার করা রোগীদের ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চলতে হবে। এমন পরিস্থিতিতে একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত পানি, তেল, শ্যাম্পু ব্যবহার করা যায় না।