হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কা বাড়ায় অতিরিক্ত লবণ
যতবার আমরা আলাদা করে লবণ খাই, ততবারই দ্বিগুণ হারে হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কা বাড়তে থাকে। তাহলে এবার দেখেই নিন কত মারাত্মক ক্ষতিটাই না আপনি করে ফেলেছেন হার্টের। এবার থেকে খাবারে লবণের পরিমাণ কমান। সেই সঙ্গে কাঁচা লবণ খাওয়ার অভ্যাসকে চিরদিনের জন্য বিদায় জানান।
একাধিক কেস স্টাডির পর এ বিষয়ে চিকিৎসকেরা নিশ্চিত হয়েছে যে, যারা প্রতিদিন ১৩.৭ গ্রাম লবন খেয়ে থাকেন, তাদের হার্টে অ্যাটাকের আশঙ্কা সাধারণ মানুষদের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ হারে বেড়ে যায়। শুধু তাই নয়, খাবারে লবণের পরিমাণ বাড়তে থাকলে শরীরে আরও অনেক ধরনের ক্ষতি হয়ে থাকে।
১) রক্তচাপ বৃদ্ধি পায়ঃ
দীর্ঘদিন ধরে বেশি মাত্রায় লবণ খেয়ে এক সময় ব্লাড প্রেসার বাড়ার আশঙ্কা মারাত্মকভাবে বৃদ্ধি পায়। আর ব্লাড প্রেসার মাত্রা ছাড়ালে হার্ট এবং মস্তিষ্কের উপর মারাত্মক চাপ পড়তে শুরু করে। ফলে হঠাৎ করে হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোকের আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়।
২) স্টমাক ক্যান্সার দেখা দেয়ঃ
বিশ্বে প্রতি বছর যত সংখ্যক মানুষ স্টমাক ক্যান্সার আক্রান্ত হন, তাদের মধ্যে বেশিরভাগের অতিরিক্ত লবণ খাওয়ার বদ-অভ্যাস রয়েছে। আসলে বেশি মাত্রায় লবণ খেলে স্টমাকের আবরণ নষ্ট হতে শুরু করে। সেই সঙ্গে এইচ.পাইলোরি নামে একটি ব্যাকটেরিয়ার প্রকোপ বাড়তে থাকে। এই ব্যাকটেরিয়াটি স্টমাক আলসারের পথ প্রশস্ত করে, যা পরবর্তি সময় স্টমাক ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ায়।
৩) কিডনি খারাপ হতে শুরু করেঃ
শরীরে ইলোকট্রোলাইটসের মাত্রা স্বাভাবিক রাখতে লবণ কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। কিন্তু তাই বলে বেশি মাত্রায় লবণ খাওয়া একেবারেই চলবে না। কারণ যত বেশি করে লবণ আমাদের শরীরে প্রবেশ করবে, তত কিডনির কর্মক্ষমতা কমে যেতে শুরু করবে। সেই সঙ্গে বাড়বে রক্তচাপও, যা যে কোনও মানুষকে ধীরে ধীরে শেষ করে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট।
৪) ওজন বৃদ্ধি করেঃ
লবণ ওজন বৃদ্ধির পথকে প্রশস্ত করে থাকে। বেশি মাত্রায় লবণ খেলে বা অতিরিক্ত লবণ দিয়ে বানানো খাবার খেলে পানির তৃষ্ণা বেড়ে যায়। ফলে অতিরিক্ত মাত্রায় জল এবং কোল্ড ড্রিংক খাওয়ার প্রবণতা দেখা দেয়। অতিরিক্ত মাত্রায় কোল্ড ড্রিঙ্ক খেলে শরীরে ক্যালরির মাত্রা বাড়তে থাকে। ফলে স্বাভাবিকবাবেই বৃদ্ধি পায় ওজন।
৫) হাড় দুর্বল করেঃ
শরীরে লবণের মাত্রা যত বাড়বে, তত পানির পিপাসা পাবে। আর পানি বেশি করে খেলে প্রস্রাবও বেশি করে হবে। ফলে শরীর থেকে ক্যালসিয়াম বেরিয়ে যেতে শুরু করবে মাত্রাতিরিক্ত পরিমাণে। আর এমনটা হলেই ধীরে ধীরে হাড় দুর্বল হয়ে গিয়ে দেখা দেবে অস্টিওপোরোসিসের মতো রোগ।