কম্পিউটার বা ভিডিও গেমে তীব্র আসক্তি আছে আপনার? ক্ষতিকারক জেনেও এত দিন সাবধান হননি? তা হলে এ বার সচেতন হওয়ার সময় এসেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এই আসক্তিকে এক ধরনের অসুখ বলে ঘোষণা করল।
প্রাকৃতিক পরিবর্তন, পরিবর্তিত খাদ্যাভ্যাস, মানুষের পরিবর্তিত অভ্যাসের ফলে নতুন নতুন রোগের উদ্ভব হচ্ছে পৃথিবীতে। ‘গেমিং ডিসঅর্ডার’ তেমনই এক নতুন ‘অসুস্থতা’। ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন (হু) তাদের ইন্টারন্যাশনাল ক্লাসিফিকেশন অফ ডিজিজ (আইসিডি)-এর একাদশতম সংস্করণে একে অসুস্থতার আওতায় নিয়ে এল।
গেমিং ডিসঅর্ডার কী?
সোজা হিসেবে কম্পিউটার বা ভিডিও ট্যাবে অনলাইন গেম খেলা। তবে চিকিৎসার পরিভাষায় আরও একটু ভেঙে বললে, বলা যায়, গেমের কু-অভ্যাসের জন্য মস্তিষ্কের কোষে কিছু রাসায়নিক নির্গত হয়, যা আমাদের স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে। আর দীর্ঘ দিনের এই অভ্যাসের ফলে তৈরি হয় মানসিক নেশা— যা ব্যবহার, মনোসংযোগ ও প্রতি দিনের কাজকর্মেও প্রভাব ফেলে। এই পরিবর্তনই ‘গেমিং ডিসঅর্ডার’-এর মূল বিষয়।
মনোরোগ বিশেষজ্ঞ অমিতাভ মুখোপাধ্যায়ের মতে, দিনে একটি নির্দিষ্ট সময়ে কিছুটা তরতাজা হওয়ার জন্য খেললেই যে এমন অসুস্থতা আসবে এমন নয়। তবে তা সীমা লঙ্ঘন করলেই মুশকিল। চারপাশ থেকে প্রভাবিত হয়ে, হুজুগে পড়ে বা নতুন কিছু জানার ইচ্ছা থেকে এই আসক্তি শুরু হয়। নিয়ন্ত্রণ হারালে তা অভ্যাসে পরিণত হয়ে বিপদ ডেকে আনে। এটি অন্যান্য নেশার মতোই ক্ষতি করে মনের। তাই সুস্থ থাকতে আজই রাশ টানুন অনলাইন গেমস-এ।