উপকারগুলো জেনে খেঁজুর খান সারা বছর
গত ১০০০ বছর ধরে নানা উপকারে লাগলেও আজও স্বাস্থ্য সচেতনদের পছন্দের লিস্টে জায়গা করে উঠতে পারেনি ছোট্ট এই ফলটি। সেই কারণেই খেজুরের এমন কিছু উপকারিতা সম্পর্কে আলোচন করা হল, যা পড়তে পড়তে অপনি অবাক হবেনই। সুস্থ-সুন্দর শরীর পাওয়ার স্বপ্ন যদি আপনিও দেখে থাকেন, তাহলে এক্ষুনি খেঁজুর খাওয়া শুরু করুন। সুস্বাদু এই মরু ফলটির শরীরে রয়েছে প্রচুর মাত্রায় ফাইবার, খনিজ এবং ভিটামিন। তাই তো প্রতিদিন সকালে ৩-৪ টে খেজুর খেলে দারুন উপকার পাওয়া যায়। বিশেষত যারা কনস্টিপেশন বা কোনও ধরনের পেটের রোগে ভুগছেন তাদের জন্য তো এই ফলটি মহৌষধির কম নয়! এখানেই শেষ নয়, খেঁজুরের আরও যে উপকারগুলো আছে, যে
১. ব্রেন পাওয়ার বাড়ায়:
খেঁজুরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এবং পটাশিয়াম, যা নার্ভাস সিস্টেমের কর্মক্ষমতা বাড়ানোর মধ্যে দিয়ে সার্বিকভাবে ব্রেন পাওয়ার বাড়াতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। শুধু তাই নয়, বুদ্ধি এবং মনযোগ বাড়াতেও এই ফলটি সাহায্য় করে।
২. কনস্টিপেশনের মতো রোগের প্রকোপ কমায়:
সকাল মানেই কি জ্বালা-যন্ত্রণা? তাহলে নিয়মিত খেজুর না খেলে যে চলবে না। কারণ এই ফলটির ভেতরে উপস্থিত ফাইবার বাওয়েল মুভমেন্টের উন্নতি ঘটানোর পাশাপাশি বর্জ্যের পরিমাণ এতটা বাড়িয়ে দেয় যে কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো রোগের প্রকোপ কমতে সময়ই লাগে না।
৩. ওজন বাড়ায়:
নানা কারণে যাদের ওজন মাত্রাতিরিক্ত হারে কমে যেতে শুরু করেছে, তারা আজ থেকেই খেঁজুর খাওয়া শুরু করুন। দেখবেন উপকার পাবেন। কারণ এই ফলটিতে উপস্থিত ক্যালরি শরীরে ভাঙন রোধ করে ওজন বৃদ্ধিতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
৪. একাধিক পেটের রোগের প্রকোপ কমায়:
প্রচুর পরিমাণ ফাইবার থাকার কারণে নিয়মিত এই ফলটি খেলে বাওয়েল মুভমেন্টে মারাত্মক উন্নতি ঘটে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই কোনও ধরনের পেটের রোগই আর মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে পারে না। একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে প্রতিদিন ৩ টে করে খেজুর খেলে শরীরে অন্দরে উপকারি ব্যাকটেরিয়ায় মাত্রা বৃদ্ধি পায়। ফলে বদ-হজম, কোলাইটিস এবং হেমোরয়েডের মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা হ্রাস পায়।
৫. হাড়ের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটে:
খেজুরে উপস্থিত খনিজ এবং ভিটামিন হাড়কে এতটাই শক্তপোক্ত করে দেয় যে বয়স্কালে অস্টিওপোরোসিসের মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা একেবারে কমে যায়।