বিছানার চাদরও আপনার রুচিকে তুলে ধরে। সারা দিনের ক্লান্তির পর আয়েশ করে ঘুমাতে বিছানায় যান সবাই। তাই বিছানার চাদর হওয়া চাই আরামদায়ক, সুন্দর ও সময়োপযোগী।
আবার খাটে বিছানার চাদর, বালিশের কভার ঢেকে রাখার জন্য আছে বেডকভার। সেটাও হতে হবে সুন্দর। বিছানার চাদর বা বেডশিট বালিশের কভারসহ সেট হিসেবেই পাওয়া যায়।
বাজারে হালকা ও ভারী দুই ধরনের চাদরই পাওয়া যায়। আড়ং নিজস্ব ডিজাইনারদের তৈরি বিছানার চাদর বিক্রি করে। কিং, কুইন, সেমি ডাবল ও সিঙ্গেল সব ধরনের চাদরই পাওয়া যায়। আড়ংয়ের আসাদগেট শাখার বিক্রয়কর্মী লুবনা আক্তার জানান, সব ধরন ও আকারের চাদর থাকলেও উপহারের জন্য ক্রেতারা ভারী চাদর কিনে থাকেন। যেমন কাঁথা ফোঁড়, ব্লক, বাটিক বা সিল্কের ওপর একটু রঙিন কাজ। এসব চাদর বিশেষ উৎসব বা উপলক্ষে ঘরে ব্যবহার করা হয়। নিয়মিত ঘরে ব্যবহারের জন্য কিনলে নরম সুতি কাপড়ের চাদর বেশি ভালো হবে। ক্রেতারা গরমের কথা ভেবে হালকা রং বেশি পছন্দ করছেন।
১০টি ফ্যাশন হাউসের উদ্যোগ দেশি দশের নিজস্ব ডিজাইনারদের তৈরি চাদর বেশ জনপ্রিয়। দেশি দশের প্রায় প্রতিটি শাখাতেই সিল্ক ও খাদি কাপড়ে ব্লকপ্রিন্ট, বাটিক, টাই-ডাই, অ্যাপ্লিক, নকশিকাঁথার নকশা করা চাদর পাওয়া যায়।
ফ্যাশন হাউস নিপুণে হাতে করা ব্লকপ্রিন্ট, কাঁথাফোঁড়ের বিছানার চাদর রয়েছে। আবার সিঙ্গেল বালিশের কভারও কেনা যাবে।
শোবার ঘর, বাচ্চাদের ঘর, অতিথিদের ঘরের বিছানার চাদর আলাদা রকমের হতে হবে বলে মনে করেন অন্দরসজ্জাবিদ গুলশান নাসরিন চৌধুরী। তিনি বললেন, অনেকে আবার বসার ঘরে ছোট বিছানা রাখতে পছন্দ করেন। হালকা রঙের চাদর সেটায় বিছানো যায়। চোখে আরাম দেবে। তবে গাঢ় রং পছন্দ করলে হালকা রঙের ওপর রঙিন ফুলের নকশাসহ চাদর ব্যবহার করা যেতে পারে। বাচ্চাদের ঘরে বেডকভার না দিয়ে শুধু বেডশিট ও মূল শোবার ঘরে বেডকভার ভালো লাগবে। আবার অতিথিদের ঘরে চেক বা ডোরাকাটা (স্ট্রাইপড) বেডকভার দিতে পারেন। কিন্তু বসার ঘরে নকশিকাঁথার ভারী বেডশিট দিলে একটি উৎসবের আমেজ থাকবে।
দরদাম
আড়ংয়ে নকশি ফোঁড়ের বেডকভার ৩০০০ থেকে ৪০০০ টাকা। এ ছাড়াও সেমি ডবল চাদর ২০০০ থেকে ২৫০০ টাকা। সিঙ্গেল বেডশিট ১৫০০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাবে।
দেশি দশে বেডশিট ১০০০ থেকে ৩৫০০ টাকা আর বেডকভারের দাম ৩০০০ থেকে ৪৫০০ টাকা। বাজারের অন্যান্য বেডশিটের দাম আকারভেদে ৬০০ থেকে ২৬০০ টাকা ও বেডকভার ৪০০০ টাকা পর্যন্ত।