class="post-template-default single single-post postid-1888 single-format-standard wp-custom-logo group-blog vl-boxed aa-prefix-matin-">
Shadow

একটি রঙিন চাদর

বিছানার চাদরও আপনার রুচিকে তুলে ধরে। সারা দিনের ক্লান্তির পর আয়েশ করে ঘুমাতে বিছানায় যান সবাই। তাই বিছানার চাদর হওয়া চাই আরামদায়ক, সুন্দর ও সময়োপযোগী।

আবার খাটে বিছানার চাদর, বালিশের কভার ঢেকে রাখার জন্য আছে বেডকভার। সেটাও হতে হবে সুন্দর। বিছানার চাদর বা বেডশিট বালিশের কভারসহ সেট হিসেবেই পাওয়া যায়।

বাজারে হালকা ও ভারী দুই ধরনের চাদরই পাওয়া যায়। আড়ং নিজস্ব ডিজাইনারদের তৈরি বিছানার চাদর বিক্রি করে। কিং, কুইন, সেমি ডাবল ও সিঙ্গেল সব ধরনের চাদরই পাওয়া যায়। আড়ংয়ের আসাদগেট শাখার বিক্রয়কর্মী লুবনা আক্তার জানান, সব ধরন ও আকারের চাদর থাকলেও উপহারের জন্য ক্রেতারা ভারী চাদর কিনে থাকেন। যেমন কাঁথা ফোঁড়, ব্লক, বাটিক বা সিল্কের ওপর একটু রঙিন কাজ। এসব চাদর বিশেষ উৎসব বা উপলক্ষে ঘরে ব্যবহার করা হয়। নিয়মিত ঘরে ব্যবহারের জন্য কিনলে নরম সুতি কাপড়ের চাদর বেশি ভালো হবে। ক্রেতারা গরমের কথা ভেবে হালকা রং বেশি পছন্দ করছেন।

১০টি ফ্যাশন হাউসের উদ্যোগ দেশি দশের নিজস্ব ডিজাইনারদের তৈরি চাদর বেশ জনপ্রিয়। দেশি দশের প্রায় প্রতিটি শাখাতেই সিল্ক ও খাদি কাপড়ে ব্লকপ্রিন্ট, বাটিক, টাই-ডাই, অ্যাপ্লিক, নকশিকাঁথার নকশা করা চাদর পাওয়া যায়।

নান্দনিক বিছানার চাদর বাড়িয়ে দেবে শোবার ঘরের সৌন্দর্য। কৃতজ্ঞতা: নাজনীন চুমকি, ছবি: নকশাবিবিয়ানার ডিজাইনার লিপি খন্দকার বললেন, বিছানার চাদরগুলোতে দেশীয় আমেজ রাখার চেষ্টা করা হয়। বেশির ভাগ বিছানার চাদরই সুতি কাপড়ের হওয়ায় ব্যবহার করে আরাম পাওয়া যায়। তবে যাঁরা একটু ভারী কাজ করা চাদর পছন্দ করেন, তাঁদের জন্য হাতে অ্যাপ্লিক, মেশিন অ্যাপ্লিক ও নকশিকাঁথার বিছানার চাদর রয়েছে।

ফ্যাশন হাউস নিপুণে হাতে করা ব্লকপ্রিন্ট, কাঁথাফোঁড়ের বিছানার চাদর রয়েছে। আবার সিঙ্গেল বালিশের কভারও কেনা যাবে।

শোবার ঘর, বাচ্চাদের ঘর, অতিথিদের ঘরের বিছানার চাদর আলাদা রকমের হতে হবে বলে মনে করেন অন্দরসজ্জাবিদ গুলশান নাসরিন চৌধুরী। তিনি বললেন, অনেকে আবার বসার ঘরে ছোট বিছানা রাখতে পছন্দ করেন। হালকা রঙের চাদর সেটায় বিছানো যায়। চোখে আরাম দেবে। তবে গাঢ় রং পছন্দ করলে হালকা রঙের ওপর রঙিন ফুলের নকশাসহ চাদর ব্যবহার করা যেতে পারে। বাচ্চাদের ঘরে বেডকভার না দিয়ে শুধু বেডশিট ও মূল শোবার ঘরে বেডকভার ভালো লাগবে। আবার অতিথিদের ঘরে চেক বা ডোরাকাটা (স্ট্রাইপড) বেডকভার দিতে পারেন। কিন্তু বসার ঘরে নকশিকাঁথার ভারী বেডশিট দিলে একটি উৎসবের আমেজ থাকবে।

ছবি: নকশারাজধানীর নিউমার্কেটে বেডকভার ও বেডশিট পাবেন। হোমটেক্সের সুতি চাদরগুলো গরমে বেশি বিক্রি হচ্ছে বলে জানালেন বিক্রয়কর্মীরা। হোমটেক্সের বিছানার চাদরে সাধারণ সুতি ও টুইল কটনের কাপড় ব্যবহার করা হয়। টুইল একটু ভারী, তবে বেশি আরামদায়ক।

দরদাম

আড়ংয়ে নকশি ফোঁড়ের বেডকভার ৩০০০ থেকে ৪০০০ টাকা। এ ছাড়াও সেমি ডবল চাদর ২০০০ থেকে ২৫০০ টাকা। সিঙ্গেল বেডশিট ১৫০০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাবে।

দেশি দশে বেডশিট ১০০০ থেকে ৩৫০০ টাকা আর বেডকভারের দাম ৩০০০ থেকে ৪৫০০ টাকা। বাজারের অন্যান্য বেডশিটের দাম আকারভেদে ৬০০ থেকে ২৬০০ টাকা ও বেডকভার ৪০০০ টাকা পর্যন্ত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Please disable your adblocker or whitelist this site!