ডিপিআরসি চেয়ারম্যান ডা. মো. সফিউল্যাহ প্রধানের পরামর্শ : হাতের কবজি ব্যথায় করণীয়

কারপাল টানেল সিনড্রোম

হাতের কবজি ব্যথায় করণীয়

ডা. মো. সফিউল্যাহ প্রধান

কারপাল টানেল সিনড্রোম হলে বৃদ্ধাঙ্গুলি ও তর্জনীতে ব্যথাটা বেশি অনুভূত হয়। কখনো কখনো বৃদ্ধাঙ্গুলির পাশ ঘেঁষে খানিকটা ওপরের দিকেও ব্যথা হয়। পাশাপাশি রাতে হাত অবশ হয়ে আসে। অনেক সময় অতিরিক্ত ব্যথার কারণে রাতে ঘুম ভেঙে যায়। হাতের তালু কিছুটা ফোলাভাব ও গরম মনে হয়। এসব লক্ষণই হলো কারপাল টানেল সিনড্রোম।

 

কারণ

হাইপোথাইরয়েডিজম, রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস, গাউট, নিয়মিত মদ্যপান, ওজন বাড়া, গর্ভধারণ প্রভৃতি কারণে কারপাল টানেল বা কবজি ছোট হয়ে যায়। মধ্যবর্তী বয়সের মহিলারা বেশি আক্রান্ত হন। কবজির হাড় ভেঙে সঠিকভাবে জোড়া না লাগলে বা দীর্ঘদিন প্লাস্টার করে রাখার ফলে কারপাল টানেলে চাপ পড়তে পারে। তা ছাড়া ঘাড়ের স্নায়বিক সমস্যা বা কম্পিউটারের কি-বোর্ডে কাজ করলেও কবজি ব্যথা হতে পারে।

 

পরীক্ষা

এই রোগ নির্ণয়ের জন্য নার্ভ কনডাকশন ভেলোসিটি (এনসিভি) পরীক্ষাটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ। এ ছাড়া ইলেকট্রমায়োগ্রাম (ইএমজি) পরীক্ষা করলে মাংসপেশির নার্ভ সাপ্লাই সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। কবজি ও নার্ভের গঠন বোঝার জন্য কবজির সিটি স্ক্যান বা এমআরআই পরীক্ষা করা যেতে পারে। এ ছাড়া সহায়ক পরীক্ষা হিসেবে আক্রান্ত হাতের এক্স-রে, ডায়াবেটিস পরীক্ষা, থাইরয়েড গ্ল্যান্ডের পরীক্ষা করতে হয়।

 

চিকিৎসা

কারপাল টানেল সিনড্রোমের জন্য আল্ট্রা সাউন্ডথেরাপি, ইন্টারফেরেন সিয়ালথেরাপি, নিউরোমাসকুলার স্টিমুলেশন, ওয়াশ বাথ খুবই কার্যকর চিকিৎসা। পাশাপাশি হাতের রেস্টিং স্লিন্ট দেওয়া যেতে পারে। ব্যথার ওষুধ ও স্টেরয়েড কিছু সুফল দিলেও সতর্কভাবে ব্যবহার করা উচিত।

 

কবজি ব্যথায় করণীয়

প্রথম দিকে কবজির বিশ্রাম নিতে হয়। বিশেষ করে কবজির ওপরে চাপ পড়ে এমন সব কাজকর্ম পরিহার করা উচিত। হাতের কিছু দৈনন্দিন কাজও কমিয়ে দেওয়া উচিত। যেমন—ঘর মোছামুছির কাজ, কাপড় ধোয়া, টিউবওয়েল চাপা, একটানা লেখালেখি বা কি-বোর্ডে দীর্ঘক্ষণ কাজ, ড্রিল মেশিন ব্যবহার, হাতে ভারী ওজন বহন প্রভৃতি।

 

লেখক : চেয়ারম্যান, ডিপিআরসি

মোহাম্মদপুর, ঢাকা

https://www.youtube.com/watch?v=Geg0SPadJxM&feature=youtu.be&fbclid=IwAR0QsvcqjH0dMmsEQj-NPglRMt4gW5oe32oH3C-jCb4BnnI893b6ABrzpvk

 

কবজি ব্যথা