ইংল্যান্ডে চলছে ক্রিকেট বিশ্বকাপ। খেলছে বাংলাদেশও। গোটা দেশ পুড়ছে ক্রিকেট জ্বরে। তাই খেলার বাইরে বিভিন্ন দলের খেলোয়াড়দের ব্যক্তিগত নানা তথ্য জানতেও ভক্তদের মধ্যে বাড়তি আগ্রহ। কী খান আপনার প্রিয় ক্রিকেটার ? তেমন কিছু তথ্য থাকছে এখানে।
বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা নিয়মিত নানা ধরনের খাবারই খান। তবে বেশি পছন্দ করেন বাঙালি খাবার। তাঁর মা হামিদা মুর্তজা জানান, ‘কৌশিক (মাশরাফির ডাক নাম) বাঙালি খাবার খেতেই বেশি ভালোবাসে। বাড়িতে এলে সে খায় সাদা ভাত, আলুভর্তা, আলুভাজি, ডিমভাজি ও পাতলা ডাল।’ চালের গুঁড়া দিয়ে তৈরি নরম রুটিতে গরুর মাংস বা গরুর পায়া খেতেও ভালোবাসেন এই অধিনায়ক। মাশরাফির পছন্দের খাবারের তালিকা এখানেই শেষ না। লাউ দিয়ে রান্না করা দেশি কই মাছ, ইলিশ মাছ ভাজা, গরুর ভুঁড়ি, সেমাই, তেলে ভাজা পিঠাও আছে তাঁর পছন্দের তালিকায়।
ভারতের অধিনায়ক বিরাট কোহলি খেলার জন্য ছেড়েছেন তাঁর পছন্দের খাবারের মায়া। কি সেই খাবার জানেন? বাটার চিকেন, মাটন রোল আর ফাস্ট ফুড। এগুলোতে একসময় আসক্তই ছিলেন বিরাট। অথচ নিজের ফিটনেস ধরে রাখতেই এসব খাবারের ধারেও ঘেঁষেন না বলিউডের দুলাভাই। কোনো প্যাকেটজাত জুস না, বিরাট ভালোবাসেন তাজা ফলের রস খেতে। তাঁর প্রতিদিনের খাবার তালিকায় এখন থাকে গোলমরিচ ছিটানো ওমলেট, চিজ, পালংশাক, সামুদ্রিক মাছ, গ্রিন টি, আলুসেদ্ধ। পেশি বাড়ানোর দরকার পড়লে তবেই রেডমিট খান, সেটাও মাপমতো।
ক্যারিবিয়ান হিটার ক্রিস গেইলের শক্তি আর সামর্থ্যের কথা তো ক্রিকেট বিশ্বে অজানা নয়। স্বভাবতই মনে প্রশ্ন জাগে, এই ক্রিকেটার আসলে খায় কী? গেইল নিজেই জানাচ্ছেন সেই তথ্য, ‘আমি ভালোবাসি সামুদ্রিক খাবার।’ ‘এই খাবারের মধ্যে আছে আক্কি ও নোনা মাছ। সমুদ্র থেকে ধরা তরতাজা মাছ ঠিকমতো শুকানোর পর তাঁর পছন্দমতো রান্না হলে সেদিক থেকে মুখ ফেরাতে পারেন না ক্রিস গেইল। এর বাইরে আরও একটি খাবার ভালোবাসেন গেইল। সেটা হলো ভারতীয় বিরিয়ানি ও কিমা। আইপিএলের কল্যাণেই গেইলের এই ভারতীয় খাবারপ্রীতি বলে জানা যায়’।
চিকেন কাবাব ভালোবাসেন শোয়েব মালিক
পাকিস্তানি ক্রিকেটার শোয়েব মালিকও খাওয়ার পাশাপাশি রান্না করতে ভালোবাসেন। স্ত্রী টেনিস তারকা সানিয়া মির্জা রান্না করতে পারেন না। তাই মাঝেমধ্যে নিজের হাতেই রান্নার দায়িত্ব তুলে নেন শোয়েব। তিনি ভালোবাসেন চিকেন ৬৫ নামের একটি বিশেষ কাবাব।
ইংলিশ অধিনায়কের চকলেটপ্রীতি
ইংল্যান্ড অধিনায়ক খেলার মাঠে বাইরে খেতে ভালোবাসেন, ভালোবাসেন রান্না করতেও। ইংলিশ ক্রিকেটার এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন তিনি খুব ভালো শেফ। এউইন মরগান ভালোবাসেন খেতেও। তবে সব ধরনের খাবারই ভালো লাগলে পেটপুরে খেতে হবে বলে মনে করেন না তিনি। চকলেট খেতে পছন্দ করেন, চকলেট বিস্কুটও তাঁর পছন্দের। তাঁর প্রিয় ইতালীয় খাবারও। যার মধ্যে আছে পাস্তা ও পিৎজা।
স্যান্ডউইচে মন ওয়ার্নারের
এই অস্ট্রেলীয় ওপেনার নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে দলে ফিরেছেন এবারের বিশ্বকাপেই। ডেভিড ওয়ার্নারের নিষেধাজ্ঞার দিনগুলো যে কষ্টের ছিল, সেটা তো বলে দিতে হয় না। এই ব্যাটসম্যানের পছন্দের খাবার কি জানতে চান? স্যান্ডউইচ। আরও ভেঙে বললে চিকেন অ্যাভোকাডো স্যান্ডউইচ। যেটা পেলে অন্য খাবারের দিকে ফিরেও তাকান না ওয়ার্নার। এই স্যান্ডউইচের ভেতরের পুর হিসেবে অ্যাভোকাডো আর মুরগির মাংস ছাড়াও টাটকা সালাদ ও কম চর্বিযুক্ত মেয়নিজ দেওয়া হয়।
রান্না করতে ভালোবাসেন মালিঙ্গা
খেতে ভালোবাসার সংখ্যা তো গুনে শেষ করা মুশকিল। কিন্তু রান্না করতে ভালোবাসেন আর কজন! শ্রীলঙ্কান বোলার লাসিথ মালিঙ্গা সেই ‘কজনের’ দলেই। খেলার মাঠ আর রান্নাঘর এই দুটি জায়গা তাঁর খুব প্রিয়। নিয়মিত নানা ধরনের নিরীক্ষা চালান রান্না নিয়ে। খেতেও ভালোবাসেন মালিঙ্গা। শ্রীলঙ্কান রাইস আর ঝোলযুক্ত খাবার ভালোবাসেন তিনি।
সূত্র: ওয়েটরোজ অ্যান্ড পার্টনারস, স্থান দুবাই, এমএসএন স্পোর্টস ও বর্ণিল খাবারদাবার ম্যাগাজিন