চুল পড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ খুশকি।
খুশকির সমস্যায় ভোগেননি এমন মানুষ খুব কমই আছেন। শীতে ত্বক শুষ্ক হয়ে যাওয়ায় খুশকির সমস্যা বাড়ে। সাধারণত, মাথার ত্বকে নতুন কোষ তৈরি হয় ও পুরনো কোষ ঝরে পড়ে। কিন্তু এই প্রক্রিয়া ঠিক মতো না হলে তখনই খুশকির শিকার হন আপনি। পুরনো কোষ না ঝরতে পারলে সেগুলো মাথার মধ্যেই জমে থাকে এবং তা থেকে ছত্রাকজনিত সংক্রমণ দেখা যায়। সেই কোষগুলোই গুঁড়ো গুঁড়ো হয়ে মাথার চুলে মিশে থাকলে তাদেরই খুশকি বলা হয়।
মাথার ত্বকের প্রকৃতি, মাথা পরিষ্কারের পদ্ধতি ইত্যাদি কারণেই এই খুশকির সমস্যা আসতে পারে। তবে কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি জানলে সহজেই এই খুশকির হাত থেকে বাঁচা যায। এবং এই সব পদ্ধতির খরচও নামমাত্র। বরং হাতের কাছেই মজুত বেশ কিছু ঘরোয়া জিনিসের উপর ভিত্তি করেই এই সমস্যা দূর করা যায়।
খুশকিকে অবহেলা করলে তা শুধু লোকলজ্জার কারণ হয়ে ওঠে এমনই নয়, খুশকি চুলের গোড়া আলগা করে দেয়, ফলে দ্রুত চুল পড়তে শুরু করে। রূপ বিশেষজ্ঞদের মতে, অধিকাংশ মানুষের অকালে চুল ঝরে যাওয়ার অন্যতম কারণ এই খুশকি। তাই দেখে নিন সে সব সহজ উপায়, যাতে শীতে তো বটেই, সারা বছরই আপনি খুশকি থেকে দূরে থাকতে পারবেন।
• মেথি বাটা, আমলকির রস, ডিম ও টক দই একসঙ্গে জলের সঙ্গে ফেটিয়ে মাথায় মাখুন। সপ্তাহে দু’-তিন দিন এই প্যাক লাগিয়ে আধ ঘণ্টা রেখে দিন। তার পর তা ধুয়ে ফেলুন। চুলের জেল্লা ফেরার সঙ্গে পিছু হঠবে খুশকির সমস্যা।
• স্নানের সময় উষ্ণ জলে লেবুর রস মেশান। লেবুর অ্যাসিড জলে মিশে চুলের রন্ধ্রে প্রবেশ করলে তা খুশকি কমায়।
• জলের সঙ্গে তেঁতুল গুলে নিন। এ বার তা মাথার গোড়ায় লাগিয়ে রাখুন। কিছু ক্ষণ রাখার পর ধুয়ে দিন। সহজেই সারবে খুশকির সমস্যা।
• জবা ফুলের রস, আমলকির রস এ সব চুলের পক্ষে খুব ভাল। চুলের ত্বককে আর্দ্র করার পাশাপাশি চুলের ঔজ্জ্বল্য বাড়াতে ও চুল ঘন করতেও কাজে আসে এ সব। খুশকি সরাতেও আস্থা রাখুন এ সবে। জবা ফুল ও আমলকি একসঙ্গে বেটে লাগান চুলে। খুশকি সারাতে এই প্যাক অব্যর্থ কাজে আসে।