অফিসে সারাদিন বসে বসে কাজ, বেশির ভাগ দিন বাইরের মশলাদার খাওয়া-দাওয়া, দৈনন্দিন কাজের চাপ আর চূড়ান্ত ব্যস্ততায় জীবনযাত্রায় নিয়মিত নানা অনিয়ম হয়েই চলেছে। আর এই অনিয়মের ফলে বেড়েই চলেছে শরীরের স্তুলতা। চিকিত্সকদের মতে, স্তুলতা বা বাড়তি মেদ থেকে শরীরে একাধিক রোগ বাসা বাঁধতে শুরু করে। ব্যস্ততার চাপে শরীরচর্চারও সময় নেই। জিমে গিয়ে মেদ ঝরানোরও তাই উপায় নেই। তাহলে কী করবেন? উপায় আছে। জিমে না গিয়ে, ঘাম না ঝরিয়েও মেদ ঝরিয়ে ফেলতে পারেন অনায়াসে। একেবারে ঘরোয়া, সাধারণ উপাদান দিয়েই এমন এক পানীয় তৈরি করা যায়, যা খেলে মাত্র ১০ দিনেই কমে যাবে আপনার পেটের মেদ। পানীয়টি তৈরি করতে লাগে মাত্র দু’টি উপাদান। আদা আর জিরা। এই দুই উপাদান হাতের কাছে থাকতে চিন্তা কিসের!
আদা যে শুধু রান্নারই স্বাদ বাড়ায় তা নয়, আদার একাধিক ঔষধি গুণ আমাদের শরীরের জন্যেও খুব উপকারী। নিয়মিত আদা খাওয়ার অভ্যাস একাধিক রোগ-জ্বালার থেকে দূরে রাখবে আপনাকে। শরীরের নানা সমস্যার সমাধানে আদা একটি অত্যন্ত কার্যকরী ঔষধি উপাদান। ১০০ গ্রাম আদায় রয়েছে ৮০ ক্যালরি এনার্জি, ১৭ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট, ০.৭৫ গ্রাম ফ্যাট, ৪১৫ মিলিগ্রাম পটাসিয়াম আর ৩৪ মিলিগ্রাম ফসফরাস। হজমের সমস্যার সমাধানে বা দ্রুত মেদ ঝরাতে আদার জুড়ি মেলা ভার।
ওজন কমানোর ক্ষেত্রে মোক্ষম দাওয়াই হতে পারে আদা। আদা ক্যালরি চটজলদি বার্ন করতে সক্ষম। তাছাড়া, আদার রস কার্বোহাইড্রেট দ্রুত হজম করায়, মেটাবলিজম রেট বাড়ায়, ইনসুলিনের নিঃসরণ বাড়ায়। ফলে ওজন সহজেই নিয়ন্ত্রণে থাকে। আসুন এ বার জেনে নেওয়া যাক কী ভাবে বানাবেন এই পানীয়।
১ চামক জিরা আর এক টুকরো আদা ৫০০ মিলিলিটার জলে দিয়ে ভাল করে ফুটিয়ে নিন। যত ক্ষণ না জলটা শুকিয়ে প্রায় অর্ধেক হয়ে যাচ্ছে, তত ক্ষণ পর্যন্ত ফোটান। চাইলে স্বাদের জন্য এর মধ্যে দারচিনি আর লেবুর রসও ব্যবহার করতে পারেন। টানা ১০ দিন সকালে এটি খান। উপকার পাবেন হাতেনাতে।
Post Views: 2,023