সিএমজি বাংলা ডেস্ক: চীনের শীর্ষ ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা সম্প্রতি দেশীয় ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান সিনোফার্মের তৈরি এমপক্স টিকার ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের অনুমোদন দিয়েছে। এ তথ্য বৃহস্পতিবার প্রতিষ্ঠানটির এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।
এই পরীক্ষামূলক টিকা যৌথভাবে তৈরি করেছে সিনোফার্মের অধীনস্থ বেইজিং ইনস্টিটিউট অব বায়োলজিক্যাল প্রোডাক্টস এবং চীনের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের ভাইরাস রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধের জাতীয় ইনস্টিটিউট।
চীনে এখনও কোনো অনুমোদিত এমপক্স টিকা নেই। সিনোফার্মের এই টিকা প্রাক-ক্লিনিক্যাল গবেষণায় নিরাপদ এবং কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে। এটি বিভিন্ন প্রাণীর মডেলে, যেমন বানরের কিছু প্রজাতির ওপর এমপক্সের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সক্ষম।
সিনোফার্ম জানিয়েছে, এই টিকা সম্পূর্ণভাবে চীনা বিজ্ঞানীদের তৈরি এবং এর সম্পূর্ণ মেধাস্বত্ব চীনের রয়েছে।
চীনে সাধারণত একটি টিকা বাজারে আসার আগে তিনটি ধাপের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের মধ্য দিয়ে যায়, যা সম্পন্ন হতে কয়েক বছর বা কখনো দশকও লেগে যেতে পারে।
এ ছাড়া, সিনোফার্মের আরেক সহযোগী প্রতিষ্ঠান শাংহাই ইনস্টিটিউট অব বায়োলজিক্যাল প্রোডাক্টসও একটি এমপক্স টিকা তৈরি করছে, যা সেপ্টেম্বরে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের অনুমোদন পায়।
চীনের মাইক্রোবায়োলজি ইনস্টিটিউট গত মাসে জানায়, তাদের বিজ্ঞানীরা এমআরএনএ প্রযুক্তির ভিত্তিতে একটি সম্ভাব্য এমপক্স টিকা নিয়ে গবেষণা করছে এবং ইঁদুরের মডেলে ইতিবাচক ফলাফল পেয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) গত আগস্টে এমপক্সকে বৈশ্বিক স্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা হিসেবে ঘোষণা করে। কঙ্গো, বুরুন্ডি, এবং উগান্ডায় বেশি ছড়িয়ে পড়া এই রোগ ১২০টিরও বেশি দেশ ও অঞ্চলে শনাক্ত হয়েছে।
চীনে প্রথম এমপক্স সংক্রমণ শনাক্ত হয় গত বছরের জুনে। পরে এটি কোভিড-১৯ ও এইচআইভি/এইডসের মতো শ্রেণিবদ্ধ করে ক্লাস বি সংক্রামক রোগ হিসেবে একে তালিকাভুক্ত করা হয়। সেপ্টেম্বরে ৪৬টি এবং অক্টোবরে ৩৮টি সংক্রমণ চীনে রিপোর্ট করা হয়েছে।