রান্নাঘর পরিচ্ছন্ন রাখতে তোয়ালে? খাদ্যে বিষক্রিয়ার শিকার হচ্ছেন কিন্তু

এতে এক মাস ধরে ব্যবহার করা ১০০টি তোয়ালে ব্যবহার করা হয়েছিল। ফলস্বরূপ, প্রায় ৪৯ শতাংশ তোয়ালেতে জীবাণু মিলেছে। যে পরিবারে সদস্য সংখ্যা বেশি বা খুদে সদস্য বেশি রয়েছে সেই পরিবারের তোয়ালেতে জীবাণুরও আধিক্য মিলেছে। শিশুদের জন্য বাড়তি সতর্কতা নিয়ে বারবার পরিষ্কারের প্রবণতায় তোয়ালে ব্যবহার করে ফেলাই এর জন্য দায়ী।
এমনকী, জীবাণুর উপস্থিতি বেশি ছিল ভিজে তোয়ালেতে। শুকনো তেয়ালের তুলনায় ভিজে তোয়ালেতে জীবাণু ছড়িয়েছে প্রায় দেড়গুণ। তোয়ালের যা উপাদান, তা ভিজে থাকলে এমনিই গন্ধ ছড়ায়, ব্যাকটেরিয়া তৈরি হয়। সেখানেই প্যাথোজেন পেয়ে যায় তার বাড়তি প্রভাব।
উল্লেখযোগ্য ভাবে আমিষ রান্নার দিন রান্নাঘরে জীবাণুর মাত্রা বেশি মিলেছে। আমিষ রান্নায় ব্যবহৃত মশলার ব্যবহার বেশি হওয়ায় সেখানে প্যাথোজেনের প্রভাব বেশি বলে দাবি করেছেন গবেষকরা। তুলনায় নিরামিষ. বা সেদ্ধ জাতীয় রান্নায় প্যাথোজেনের পরিমাণ কম। নিরামিষ রান্নার উপাদান কম বলে, ঘন ঘন তোয়ালের ব্যবহারও কম হয়।
তা হলে উপায়? গবেষকদের মতে, তোয়ালে ব্যবহার করুন। কিন্তু বুঝে। এক একটা কাজের জন্য আলাদা আলাদা তোয়ালে রাখুন। হাতের কাছে ছোট ছোট তোয়ালে রুমালও রাখতে পারেন কাজের সুবিধা ভেবে। আধুনিক ব্যবস্থায় অভ্যস্ত হতে ব্যবহার করতে পারেন পেপার-টাওয়েলও।