ফাটা ঠোঁটের সমস্যা দূর করুন নিয়োমগুলো জেনে!

বাতাসে হিমের ছোঁয়াচ আর আবহাওয়ায় শুষ্কতা আসার সঙ্গে সঙ্গে ত্বকের বিশেষ কিছু যত্নের প্রয়োজন পড়ে। শীতে অন্যতম সমস্যা ঠোঁট ফাটা। সাধারণত ঠোঁটের যত্নে সারা বছর আমরা এমন কিছু বাম ব্যবহার করি, যার মধ্যে বেশ কিছু ক্ষতিকর রাসায়নিক উপাদানও মজুত থাকে। রূপ বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ধরনের বামে ক্যামফার ও মেন্থল থাকায় তা ঠোঁট কালো করে।

তাই এই শীতে ঠোঁট নরম রাখতে বাম বাছার আগে খেয়াল রাখুন কিছু বিশেষ বিষয়। দেখে নিন আপনার কেনা বামে পেট্রোলিয়াম জেলি, এসেনশিয়াল অয়েল বা গ্লিসারিন আছে কি না।

তবে বাম খানিক ক্ষণ পর শুকিয়ে যায়। তাই জেগে থাকার সময় যাও বা খেয়াল করে মাঝেমধ্যেই বাম লাগিয়ে ঠোঁট ভিজিয়ে নেওয়া যায়, ঘুমনোর সময় তার উপায় থাকে না। অথচ শীতের রাতে প্রায় সাত-আট ঘণ্টা শুকনো ঠোঁট থাকলে তা অচিরেই ফাটবে।

তাই অনেকেরই বাম ব্যবহারের পরেও ফাটে ঠোঁট। কিন্তু ঘরোয়া উপায়ে একটি বিশেষ যত্ন নিলে সারা শীত কাল জুড়ে নিলে রাতেও আপনার ঠোঁট থাকবে আর্দ্র। কম সময়সাপেক্ষ ও পকেটসই দামের এই যত্ন আপনার ঠোঁটকে রক্ষা করবে শীতের শুষ্কতা থেকে।

রাতে ঘুমনোর আগে সামান্য ঘিয়ে মেশান একটু দুধের সর। তার পর এই মিশ্রণ ঠোঁটে লাগিয়ে রাখুন। দীর্ঘ সময় ধরে ত্বককে নরম রাখে ঘি। আর দুধের সর ত্বকের অভ্যন্তরের ময়লা দূর করে ও মৃত কোষ ঝরিয়ে দেয়। তাই এই মিশ্রণ সারা রাত ঠোঁটে দিয়ে রাখলে ঠোঁট নরম তো থাকেই, সঙ্গে ঠোঁটের কালো ভাবও দূর হবে। তবে ধূমপান থেকেও ঠোঁটের কালো ছোপ আসে। ধূমপান শরীরের অন্যান্য ক্ষতিও করে। তাই ঠোঁটের যত্নে ভাল ফল পেতে ধূমপান ছাড়াটাও আবশ্যিক।