পরিবর্তিত জীবনযাত্রায় যে সব অসুখ নিয়ে আমরা কমবেশি সকলেই ভয়ে থাকি, তার অন্যতম ডায়াবেটিস এবং ওবেসিটি। চিকিৎসকদের পরামর্শ মেনে নিয়মিত শরীরচর্চা বা ওষুধ গ্রহণ করেই থাকেন অনেকে। তার পরেও সামান্য ত্রুটি-বিচ্যুতিতেও ডায়াবেটিস ও ওজন বেড়ে যাওয়ার মতো ঘটনার শিকার আকছার হই আমরা।
পুষ্টিবিদ ও চিকিৎসকদের মতে, ওষুধের পাশাপাশি কিছু পথ্যও যদি রাখতে পারেন নিত্য খাদ্যতালিকায়, তা হলে অসুখকে নিয়ন্ত্রণে তো রাখা যায়ই, সঙ্গে শরীরে এই সব অসুখের হানাও রুখে দেওয়া যায় সহজে।
পুষ্টিবিদদের মতে, ডায়াবেটিসও মেদবাহুল্য রুখতে জিরের জুড়ি নেই। জিরেতে থাকা অ্যান্টিইনফ্ল্যামেটরি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। যা মেদ ঝরাতে কাজে তো লাগেই, সঙ্গে রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখে। পরিপাকতন্ত্রকে পরিষ্কার রাখা, বমি ভাব দূরে রাখা ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতেও চটজলদি সমাধান এই জিরে।
বিশেষ করে ডায়াবেটিস আক্রান্তদের ক্ষেত্রে জিরে ভিজানো জল খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরাও। পুষ্টিবিদ রেশমি রায়চৌধুরীর মতে, ‘‘রক্তের ক্ষতিকারক শর্করা ট্রাইগ্লিসারাইড ও কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে ফেলতে সক্ষম জিরে। জিরে ভেজানো জল যদি কেউ খালি পেটে খেতে পারেন, তবে মেদ কমার সঙ্গে ডায়াবিটিসও কমে।’’
জিরের এই উপকারিতা নিয়ে পুষ্টিবিদদের সঙ্গেই সুর মিলিয়েছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক সতীনাথ মুখোপাধ্যায়ও। তাঁর মতে, ‘‘জিরেতে থাকা অ্যান্টিইনফ্ল্যামেটরি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ইনসুলিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রিত রাখে। ওষুধ খাওয়ার সঙ্গে শরীরচর্চা যেমন প্রয়োজন, তেমনই এ সব পথ্যও গুরুতর।’’
কী ভাবে খাবেন?
রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে একটি পাত্রে বা গ্লাসে জল নিয়ে তাতে কয়েকটি জিরের দানা ফেলে চাপা দিয়ে রেখে দিন। পরের দিন সকালে সেই জল ছেঁকে তা ফুটিয়ে খান। খালি পেটে প্রতি দিন এই জল খাওয়ার অভ্যাস করুন।