বুকে প্রচণ্ড ব্যথা হলে কী বুঝতে হবে?

বুকে প্রচন্ড ব্যাথার আরেক নাম হচ্ছে এনজাইনা। এনজাইনা হচ্ছে একটা ভারী চাপ বা ব্যথার অনুভূতি যা বুকের বাঁদিকে অনুভূত হয় এবং বিশেষ তাৎপর্য সহকারে বা হাতে প্রসারিত হয়। এই ব্যথার সঙ্গে ঘাম ও আসতে পারে। এছাড়া দেখা দিতে পারে দৈহিক অসারতা কিংবা শ্বাসকষ্ট। অ্যানজাইনার ব্যথা সাধারণত কোনো আকস্মিক উত্তেজনা উদ্বেগ সিঁড়িতে ওঠা দ্রুত হাটা স্নানের সময় বা দৈহিক অথবা মানসিক চাপের কোন কাজের সময় অনুভূত হয়। ভরপেট খাওয়ার পর সাধারণ পরিশ্রমেও অ্যানজাইনার ব্যথা অনুভূত হতে পারে। এনজিনা লক্ষণ গুলিকে সাময়িকভাবে উপশম করা যায় সঙ্গে সঙ্গে বিশ্রাম গ্রহণ করে বা সরবিট্রেট ট্যাবলেট জিভের নিচে রেখে। তবে এই ব্যথা কখনো তীব্র হয় না এবং এটা দীর্ঘস্থায়ী হয় না। তবে এই ব্যথা যদি দীর্ঘস্থায়ী ও যন্ত্রণাদায়ক হয় তবে ধরে নিতে হবে এটা হার্ট অ্যাটাক। যদি কোন ব্যক্তি অতিরিক্ত পরিশ্রমের কাজ মাঝেমধ্যে করতে থাকেন তবে তিনি সহজে এনজাইনার ব্যথা চিনতে পারেন। তবে যেসব ব্যক্তি সমস্ত শক্তি দিয়ে কায়িক পরিশ্রম করেন না এবং যেহেতু তাদের হৃদস্পন্দনের মাত্রা সাধারণভাবে ওপরে ওঠে না তারা এনজাইনার ব্যথা তাড়াতাড়ি বুঝতে পারেন না। তারা এই ব্যথা কে একটু দেরিতে বুঝতেও উপলব্ধি করতে পারে এই ধরনের বহু শ্রমবিমুখ ব্যক্তি মারাত্মক বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয়। অনেক ক্ষেত্রেই তারা এই ব্যথার কারণ এই মারা যান। কারণ তারা অ্যানজাইনার ব্যথাটা বুঝতে পারেন না এবং আগেভাগে যত্ন নিতে পারেন না।

শতকরা 40 থেকে 50 ভাগ ব্লক  আছে এমন অবস্থায় বুকে প্রচন্ড ব্যাথা বা এনজাইনা ঘটে না। আর যদি ঘটে তবে সেটা ক্ষণস্থায়ী হয়। অ্যানজাইনার সাধারণ লক্ষণগুলো কি তাই এবার জানা যাক

ব্যথা মৃদু হতে পারে আবার তীব্র হতে পারে কিন্তু হৃদযন্ত্র বিপর্যয়ের যন্ত্রণা খুবই তীব্র হয়। সাধারনত এই তীব্র যন্ত্রণা প্রথমে বুকের মাঝখানে অনুভূত হয় এবং পরে বাম বাহুতে প্রসারিত হয়। অনেক সময় ডান বাহুতে কাঁধ এবং নিচের চোয়ালে সংক্রমিত হয়। এই যন্ত্রনা 5 থেকে 10 মিনিট স্থায়ী হয়।

শ্বাস হীনতা বা শ্বাসকষ্ট হয়।

বুকে প্রচন্ড ব্যাথা হলে রোগী অনেক ঘামতে পারে বমি বমি ভাব দেখা দিতে পারে বমিও হতে পারে।

বুকে প্রচন্ড ব্যাথা হলে রোগীর মাথা ঘুরতে পারে এবং সে অজ্ঞান হয়ে যেতে পারে।

খাবার খাওয়ার পর বুকে ব্যথা বা চাপ অনুভূত হতে পারে।

গলার দিকে অনুভূতি হারাতে পারে

রোগী বুকে কিংবা উপরের দিকে পেটে চাপ অথবা টানটান ভাব দেখা দিতে পারে। রোগী সহজে দুর্বল হয়ে যেতে পারে এবং পরিশ্রান্ত হয়ে পড়তে পারে