১) হাড় শক্তপোক্ত হয়:
ভেতর থেকে হাড়কে শক্তপোক্ত রাখতে জামের কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। আসলে এই ফলটির ভেতরে উপস্থিত ক্যালসিয়াম, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, জিঙ্ক এবং ভিটামিন কে নানাভাবে হাড়ের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়। ফলে নানাবিধ হাড়ের রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা আর থাকে না বললেই চলে।
২) রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে: এ বিষয়ে বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে নিয়মিত এক বাটি করে জাম খাওয়া শুরু করলে শরীরে এমন কিছু উপাদানের প্রবেশ ঘটে, যার প্রভাবে ইনসুলিনের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পেতে সময় লাগে না। ফলে স্বাভাবিকভাবেই রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণের বাইরে যাওয়ার আর কোনও আশঙ্কা থাকে না বললেই চলে।
৩) চুলের সৌন্দর্য বাড়ে: চুল পড়ে যাওয়া বা খুশকি হওয়া একটি বড় সমস্যা। চুলের জমতে থাকা মৃত কোষেদের সরিয়ে ফেলে চুলের স্বাস্থ্যের উন্নতিতে এই ফলটির কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। আসলে জামের অন্দরে উপস্থিত ভিটামিন বি এবং প্রঅ্যান্থোসায়ানিডিন্স এক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
৪) হার্টের ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়: স্বাস্থ্য সচেতন সবাই জানেন যে, গত এক দশকে আমাদের দেশে কিভাবে কম বয়সিদের মধ্যে হার্টের রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি পয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে জাম খাওয়ার প্রয়োজন যে আরও বেড়েছে এই বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। আসলে এই ফলটিতে উপস্থিত একাধিক উপকারি উপাদান একদিকে যেমন ব্লাড প্রেসারকে স্বাভাবিক রাখে, তেমনি রক্তে উপস্থিত খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রাও কমায়। ফলে হার্টের কোনও ধরনের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা একেবারে কমে যায়।