রক্তশূন্যতা দূর করে যে খাবার

রক্ত স্বল্পতার কারণ ও লক্ষণ সমূহ:
কারণ

আয়রনের অভাব, ভিটামিন বি১২ এর অভাব, ফলিক অ্যাসিডের অভাব, অতিরিক্ত রক্তপাত,পাকস্থলিতে ইনফেকশন,

লক্ষণ: অবসন্নতা, ক্লান্তিভাব, বমি, ঘাম হওয়া, মলের সঙ্গে রক্ত যাওয়া, ছোট শ্বাস, বেশি ঠাণ্ডা অনুভব করা ইত্যাদি রক্তশূন্যতার লক্ষণ হতে পারে।

কিছু খাবার আছে যা প্রতিদিন খেলে রক্তস্বল্পতা দূর করা সম্ভব হবে। রক্তশূন্যতা প্রতিরোধ করবে এমন কয়েকটি খাবার সম্পর্কে জেনে নিন।

পালং শাক: পালং শাককে ক্যালসিয়াম, ভিটামিন এ, বি৯, ই, সি, বিটা কারটিন এবং আয়রন রয়েছে। যা রক্ত তৈরি করে থাকে। আধা কাপ পালং শাক সিদ্ধতে ৩.২ মিলিগ্রাম আয়রন আছে যা নারীদের দেহে ২০% আয়রন পূরণ করে থাকে।

বিট: বিট আয়রন সমৃদ্ধ খাবার হওয়া খুব অল্প সময়ের মধ্যে এটি রক্ত স্বল্পতা দূর করে দেয়। এটি লোহিত রক্তকণিকা বৃদ্ধি করে এবং দেহে অক্সিজেন সরবারহ সচল রাখে।

টমেটো: টমেটোতে ভিটামিন সি আছে যা অন্য খাবার থেকে আয়রন শুষে নেয়। এছাড়া টমেটোতে বিটা ক্যারটিন, ফাইবার, এবং ভিটামিন ই আছে। তাই চিকিৎসকরা প্রতিদিন কমপক্ষে একটি টমেটো খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।

ডালিম: প্রচুর পরিমাণ আয়রন এবং ভিটামিন সি সমৃদ্ধ একটি ফল হলো ডালিম। এটি দেহে রক্ত প্রবাহ সচল রেখে দুর্বলতা, ক্লান্ত ভাব দূর করে থাকে। নিয়মিত ডালিম খেলে রক্তস্বল্পতা দূর হয়ে যায়। এমনকি প্রতিদিনের নাস্তায় এক গ্লাস ডালিমের রস খেতে পারেন।

পিনাট বাটার: আয়রনের আরেকটি উৎস হল পিনাট বাটার। দুই টেবিল চামচ পিনাট বাটারে .৬ মিলিগ্রাম আয়রন পাওয়া যায়। আপানি যদি পিনাট বাটারের স্বাদ পছন্দ না করেন চিনাবাদাম খেতে পারেন। এটিও শরীরে আয়রন বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।

এছাড়া ডিম, সয়াবিন, বাদাম, সামুদ্রিক মাছ, খেজুর, কিশমিশ ইত্যাদিতে প্রচুর পরিমাণে আয়রন রয়েছে যা দেহের রক্ত স্বল্পতা রোধ করে।