মুখের উপর সটান ‘না’ বলতে কতই না সংশয়। আর উল্টো দিকে যদি বস থাকেন, তা হলে তো কথাই নেই। নিমেষে জিভ শুকনো, গলা কাঠ। অবশেষে বেজার মুখে অসুবিধার প্রস্তাবেও হ্যাঁ। অথচ এই অবাঞ্ছিত হ্যাঁ-এর মধ্যে থাকে নানা অসন্তোষ। যার প্রভাব পড়ে কাজেও। এ থেকে মুক্তি পাওয়া কঠিন নয়। বুদ্ধি খাটিয়ে কিছু উপায় মেনে চললেই কেল্লা ফতে।
বিকল্প আছে কি?: ‘না’ বলার আগে প্রথমেই ভাবনা হোক এটা। যে প্রস্তাবে ‘না’ বলছেন, তা সমাধানের অন্য কোনও বিকল্প আছে কি? থাকলে সেটা আগেই জানান বস-কে। কাজটা অন্যভাবে করা যায় কিনা তা খতিয়ে দোখুন। অফিসের কাজে আপনার এই ভাবনা খুশি করবে তাঁকে। একান্তই বিকল্প না পেলে না বলতে হবে বইকি।
‘না’ বলাই কিন্তু লক্ষ্য: ‘না’ ব্যতীত কোনও উপায় নেই। প্রথমে এটাই মাথায় গেঁথে নিন। ‘না’ বলা নিয়ে নিজেরই সংশয় থাকলে তা কখনওই অন্যের কাছে বিশ্বাসযোগ্য হবে না। তাই আগে নিজে ১০০ শতাংশ নিশ্চিত হোন নিজের ‘না’-এর বিষয়ে। দরকারে বসের মুখোমুখি হওয়ার আগে নিজেকে সময় দিন। মনে মনে ঝালিয়ে নিন আপনার ‘না’-এর যুক্তিগুলো।
মেজাজ হারাবেন না: ‘না’ বলতে গিয়ে মেজাজ হারানো কোনও কাজের কথা নয়। যতটা পারেন শান্ত থাকাই সেরা পদ্ধতি। নিজের যুক্তি গুছিয়ে বলুন। বস কিন্তু সহজে ‘না’ শুনতে পছন্দ করেন না। তাই তাঁর বিশ্বাস অর্জন করতে ধৈর্য প্রযোজন। ভদ্রভাবে অসুবিধার কথাটা জানান। তাতেও সমস্যা না মিটলে ফের আলোচনা করুন। কাজ না হলে সাহায্য নিন অফিস প্রোটোকলের।
সহমর্মী থাকুন: একজন কর্মী হিসেবে কিন্তু আপনারও অফিস বা চাকরির প্রতি দায়বদ্ধতা আছে। নিজের অসুবিধার জেরে ‘না’ বলতে হলেও কাজের প্রতি পেশাদার থাকুন। কাজটার গুরুত্বই যেন প্রাধান্য পায় আলোচনায়। আপনার ‘না’-এ অফিসের কাজে অসুবিধা হলে সহমর্মী হন। অন্য কোনও সহকর্মী এই কাজ সামলে দিতে পারলে তাঁর নাম প্রস্তাব করুন।
বদল আসুক বডি ল্যাঙ্গুয়েজে: ফাঁকি দিতে ‘না’ বলা যেমন অমার্জনীয়, দরকারে ‘না’ বলা কিন্তু ততটাই গ্রহণযোগ্য। মোদ্দা কথা, যুক্তিসঙ্গত ‘না’ কোনও অপরাধ নয়। তাই তা বলতে গিয়ে অহেতুক টেনশন করে টাই-এর নট আলগা, জবজবে ঘাম— এসব বোকামি। আবার রাগের মাথায় ঔদ্ধত্যও কাম্য নয়। তাই ‘না’ বলার বডি ল্যাঙ্গুয়েজে যেন চাপ থাকে পেশাদারিত্বের।