‘শিশুর ক্যান্সার নিরাময়যোগ্য’

ঐশীর বড় এক রোগ হয়েছিল। এই রোগের নাম শুনলে সবারই চোখ কপালে উঠার উপক্রম হয়। ঐশীর মা-বাবারও তা হয়েছিল। মরণব্যাধি নামে পরিচিত এই রোগের নাম ক্যান্সার। বাবা-মা দুইজনেই তখন চোখে অন্ধকার দেখছিলেন। ভেবেছিলেন এই বুঝি তাদের সাত রাজার ধন ঐশী তাদের ছেড়ে চলে যাবে না ফেরার দেশে। কিন্তু তা হলো না। ধৈর্য ধরে দীর্ঘদিন চিকিত্সা করানোর ফলে আজ ঐশী রোগমুক্ত হয়েছে। এই অনুভূতির কথা বলতে বলতে চোখের পানি ধরে রাখতে পারেননি ঐশীর মা। একইভাবে নিজের ধৈর্য ধারণের বর্ণনা করেন সামিয়া আর সামিয়ার মা। মন-প্রাণ দিয়ে তারা চিকিত্সা করে এই রোগমুক্তি ঘটিয়েছেন বলে জানান, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের শিশু হেমাটোলোজি ও অনকোলজি বিভাগের অধ্যাপক এ কে এম আমিরুল মোরশেদ খসরু।
গতকাল রবিবার শিশু ক্যান্সার সচেতনতা মাস উপলক্ষে সচেতনতামূলক ‘দ্য প্রোজেক্ট হ্যাপিনেস’ উদযাপন অনুষ্ঠানে তারা এসব অনুভূতির কথা জানান। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের শিশু ক্লাসরুমে আয়োজন করা হয় এই অনুষ্ঠানের। অনুষ্ঠানে শিশুর ক্যান্সার সম্পর্কে সচেতনতার নানাদিক তুলে ধরেন বাবা-মা আর চিকিত্সকরা। অনুষ্ঠানে বিশেষজ্ঞ চিকিত্সকরা জানান, শিশুর ক্যান্সার নিরাময়যোগ্য। সঠিক সময় দ্রুত কার্যকর চিকিত্সা দিলে বেশির ভাগ রোগীই ভালো হয়। আমাদের দেশে এই রোগের চিকিত্সার সুযোগ খুবই কম। অর্থের অভাবে চিকিত্সা গ্রহণ করতে পারে না অনেকে। অনুষ্ঠানে শিশুদের চিত্তবিনোদনের জন্য শিল্পী অভিজিত্ চৌধুরী আর্ট ক্যাম্প পরিচালনা করেন। এই ক্যাম্পে ৭০ জন শিশু ছবি আঁকায় অংশ নেয়। জাদু দেখান উলফাত্ কবির ও পাপেট শো পরিচালনা করেন সাইফুল জার্নাল। অনুষ্ঠানে সঙ্গীত পরিবেশন করেন জয় শাহারিয়ার।