অনেকেরই অ্যালার্জির সমস্যা রয়েছে। অ্যালার্জির ঠেলায় অনেকরই শরীর পুরোপুরি বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। যাঁদের মারাত্মক অ্যালার্জির সমস্যা রয়েছে, চিকিৎসকরা তাঁদের অ্যালার্জি উদ্রেককারী উপাদানগুলি থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। উগ্র গন্ধ, ধোঁয়া, ধুলোয় অনেকেরই অ্যালার্জি থাকে। এর বাইরেও ফুড অ্যালার্জিতেও ভুগতে হয় অনেককে। এদের মধ্যে অধিকাংশই ভোগেন সি ফুড অ্যালার্জির সমস্যায়। এমন বহু মানুষ রয়েছেন যাঁদের ‘সি ফুড’ বা সামুদ্রিক মাছ বা ওই জাতীয় খাবার একেবারেই সহ্য হয় না। তবে কেনার সময় বা রান্নার আগে কয়েকটি পদ্ধতি মেনে চললেই এই অ্যালার্জির সমস্যা অনেকটাই এড়িয়ে চলা যায়। আসুন এ সম্পর্কে সবিস্তারে জেনে নেওয়া যাক…
১) বাজার থেকে কিনে আনার পর কাঁচা সামুদ্রিক মাছ কখনওই ফেলে রাখবেন না। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সেটা ফ্রিজে ভরে রাখুন।
২) যদি ফ্রোজেন বা হিমায়িত সি ফুড কেনার ক্ষেত্রে তার মোড়ক ভাল করে দেখে নিন। বাড়িতে এনে সেগুলিকে দ্রুত সংরক্ষণের ব্যবস্থা করুন।
৩) ফ্রোজেন বা হিমায়িত সি ফুড কেনার ক্ষেত্রে বিশ্বাসযোগ্য দোকান বা প্রতিষ্ঠানের সুপারমার্কেট থেকেই কেনা উচিত।
৪) কাঁচা সামুদ্রিক মাছ দীর্ঘ ক্ষণ ভাল রাখতে সেলোফেন পেপারে র্যাপ করে বা মুড়ে এয়ার টাইট কন্টেনারে ভরে তবেই ফ্রিজে রাখুন।
৫) রান্না করা খাবার-দাবারের পাশাপাশি কখনওই কাঁচা সামুদ্রিক মাছ খোলা অবস্থায় রাখবেন না। এতে সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা থাকে।
৬) ফ্রোজেন বা হিমায়িত সি ফুড রান্না করার আগে অবশ্যই উষ্ণ জলে ধুয়ে নিন।
এ সবের পরেও যদি কোনও সি ফুড খাওয়ার পর পেটে ব্যথা, বমি বমি ভাব, বমি, হাতে-ঘাড়ে-গলায় র্যাশ বেরোয়, সে ক্ষেত্রে অবশ্যই চিকিত্সকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। প্রয়োজনে এড়িয়ে চলুন সামুদ্রিক মাছ।