ঘন চুল পেতে হলে
১) ভিজে চুল কখনওই আঁচড়ানো উচিত নয়। চুলের জট ছাড়ানোর জন্য বড় দাঁতের চিরুনি ব্যবহার করাই ভাল। এতে চুল ছিঁড়ে যাওয়ার আশঙ্কা কম থাকে। চুল আঁচড়ানোর জন্য কাঠের চিরুনি ব্যবহার করতে পারলে সবচেয়ে ভাল হয়। সপ্তাহে অন্তত একবার চুলকে ডিপ কন্ডিশনিং ট্রিটমেন্ট দিন। চুলের যত্নে আর সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে কখনওই কড়া কেমিক্যাল ব্যবহার করবেন না।
২) সপ্তাহে অন্তত তিন বার উষ্ণ তেল দিয়ে চুলের গোড়ায় মালিশ করুন। চুলের গোড়ার আদ্রতা বজায় রাখতে এই পদ্ধতি অত্যন্ত কার্যকর! মালিশের জন্য আমন্ড অয়েল বা সাধারণ নারকেল তেল ব্যবহার করতে পারেন। আঙুলের ডগা দিয়ে চুলের গোঁড়ায় ভাল করে মালিশ করুন। অন্তত ১ ঘণ্টা রেখে শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন।
৩) ভিজে চুল শুকানোর জন্য ড্রায়ারের ব্যবহার না করাই ভাল। এর ফলে চুল রুক্ষ হয়ে যায়। তাছাড়া চুলের গোড়াও অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে যেতে পারে।
৪) ক্লান্তি, অবসাদ চুলের রং বা তার স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। তাই চাপমুক্ত থাকতে মেডিটেশন, মিউজিক থেরাপি ইত্যাদি কৌশল কাজে লাগিয়ে দেখতে পারেন।
৫) স্বাস্থ্যোজ্জ্বল চুলের জন্য পুষ্টিকর খাবার-দাবার খুবই জরুরি। ফলের রস আর সবুজ সবজি চুলের জন্য খুবই উপকারী। স্বাস্থ্যবান, ঘন, ঝলমলে চুলের জন্য দুধ আর টক দই খেতে পারেন। চুলকে স্বাস্থ্যবান করে তুলতে নারকেলও খুবই উপকারী।