ত্যাগের মহিমায় সমুজ্জ্বল কোরবানির জন্য প্রস্তুতির সময় এখনই। এ জন্য পশুর স্বাস্থ্য, অনৈতিক পন্থায় মোটাতাজাকরণ ও মানবদেহে তার ক্ষতিকর প্রভাব পরস্পর সম্পৃক্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। দেশ এখন গবাদি পশুতে স্বয়ংসম্পূর্ণ। গত ৯ বছরে মাংসের উৎপাদন বেড়েছে সাত গুণ। এ প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকলে ব্যবসায়ীরা মাংস রপ্তানিরও আশা করছে। বর্তমানে খামারের সংখ্যা ১২ লাখ ছাড়িয়েছে। প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের তথ্য বলছে, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে মাংসের উৎপাদন ছিল ৭.১৫ মিলিয়ন টন এবং গবাদি পশুর সংখ্যা (গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়া) পাঁচ কোটি ৫১ লাখ ৪০ হাজার। লিখেছেন আলী এরশাদ হোসেন আজাদ
অনৈতিক পন্থায় মোটাতাজাকরণ সম্পর্কে ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি
ইসলামী আদর্শ ‘হালালান তাইয়্যেবা’ অর্থাৎ ‘বৈধ ও পবিত্র’ উপায়ে জীবিকা অর্জন। রিজিকদাতা মহান আল্লাহ মানুষের জন্য ‘রিজকান কারিমা’র (সম্মানজনক জীবিকা) ব্যবস্থা করেছেন। হাদিসের ভাষায় ‘জীবিকার ১০ ভাগের ৯ ভাগ রয়েছে ব্যবসায়’। হাদিসের শিক্ষায় ব্যবসায়ের পবিত্রতম মূলধন—সততা, বিশ্বস্ততা, সুনাম, সেবা তথা মানবকল্যাণ।
অনৈতিক পন্থায় পশু মোটাতাজাকরণ দণ্ডনীয় অপরাধ এবং ইসলামের দৃষ্টিতে বর্জনীয় বিষয়। কোরবানির পশুর ক্ষেত্রে ক্রেতার চেয়ে বিক্রেতার দায়িত্ব বেশি। সুরা জুমআয় বলা হয়েছে, ‘ওয়া জারুল বায়’ অর্থাৎ ‘বিক্রয় বন্ধ করো’। আরবি ‘বায়’ অর্থ বিক্রয়। এতে বোঝা যায়, ক্রেতা কী করবে তা বিবেচ্য নয়। বিক্রেতাকে মহান আল্লাহর হুকুম পালনের জন্য বিক্রয় বন্ধ করতে হবে। বিক্রেতা বিক্রি বন্ধ করলেই তো ক্রেতা ক্ষতিগ্রস্ত হবে না।
উৎপাদন পর্যায়ে অনৈতিক পন্থায় পশু মোটাতাজাকরণ বন্ধ করা এবং এ জন্য রাষ্ট্রীয় তদারকি ও জনসচেতনতা জরুরি। কেননা কোরবানির পশু মহান আল্লাহর অনুগ্রহ ও সৃষ্টি নৈপুণ্যের নিদর্শন : ‘কোরবানির উট, গরুকে আমি তোমাদের জন্য আল্লাহর নিদর্শনস্বরূপ বানিয়েছি।’ (সুরা হজ, আয়াত : ৩৬)
কোরবানির পশু নির্বাচনের মানদণ্ড
হজরত মুসা (আ.)-এর যুগের একটি হত্যারহস্য উন্মোচনে গরু কোরবানি বা জবাইয়ের বর্ণনার কারণে আল-কোরআনের সর্ববৃহৎ সুরার নামকরণ হয়েছে ‘বাকারা’ বা গরু। এ সুরার ৬৭-৭১ নম্বর আয়াতে ওই গরুর কয়েকটি বৈশিষ্ট্য বর্ণনা করা হয়েছে, যা কোরবানির পশু নির্বাচনের আদর্শ মানদণ্ড, যেমন—(ক) মধ্যম বয়সী হওয়া, (খ) হলুদ উজ্জ্বল গাঢ় বর্ণের হওয়া, (গ) আকর্ষণীয় ও দর্শকনন্দিত হওয়া, (ঘ) পরিশ্রমক্লান্ত না হওয়া, (ঙ) সুস্থ ও নিখুঁত হওয়া।
প্রিয় নবী (সা.)-এর নির্দেশনা হলো, কোরবানির পশুতে চারটি দোষ সহনীয় নয়—(ক) স্পষ্টত অন্ধ, (খ) মারাত্মক অসুস্থ, (গ) দুর্বল-হাড্ডিসার, (ঘ) চার পায়ে চলতে পারে না—এমন অক্ষম বা খোঁড়া (তিরমিজি)। অন্য বর্ণনায় আছে, ইবনে ওমর (রা.) এমন পশু কোরবানি করতে নিষেধ করেছেন, যার দাঁত নেই এবং যা সৃষ্টিগতভাবেই পঙ্গু (মুয়াত্তা)।
‘ফাতাওয়ায়ে শামি’ গ্রন্থে আছে, পবিত্র খাবার খাইয়ে পশুগুলোর শরীর থেকে অপবিত্রতা দূর করার জন্য এবং অপবিত্র খাবার থেকে মুক্ত রাখার জন্য উট ৪০ দিন, গরু-মহিষ ২০ দিন, ছাগল-ভেড়া ১০ দিন বেঁধে রাখা বিশেষভাবে প্রয়োজনীয়। আসল কথা হলো, কোরবানির পশু মহান আল্লাহর শাহি দরবারে পেশ করা হয়, তাই তা হতে হবে যথাসাধ্য ত্রুটিমুক্ত এবং পুত্রের মতো প্রিয় ও পবিত্র।
ফিকাহশাস্ত্রের গ্রন্থে ত্রুটিমুক্ত পশু প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, ‘মজ্জা শুকিয়ে গেছে এমন হাড্ডিসার পশুতে কোরবানি হবে না। যে পশুর চামড়া, পশম নষ্ট বা চর্মরোগের কারণে গোশত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে—এমন পশু কোরবানি করা যাবে না।’
লাভের আশায় যা করা হয়
কোরবানির কথা চিন্তায় রেখে পশু প্রতিপালন, মোটাতাজাকরণ একটি ইবাদতমুখী সেবা। তবে বেশি লাভের মোহে নিরীহ ‘বোবা প্রাণী’কে কষ্ট দেওয়া বা মৃত্যুঝুঁকিতে ঠেলে দেওয়া নৈতিক ও ধর্মীয় দৃষ্টিতে বর্জনীয়। যেমন—গ্রোথ হরমোন, ডাইক্লোফেনাক, অনুমোদনহীন স্টেরয়েড ব্যবহার, সনদপ্রাপ্ত চিকিৎসকের লিখিত পরামর্শ ছাড়া যখন-তখন পশুকে ওষুধ ও প্রয়োজনের অতিরিক্ত খাদ্য দেওয়া ইত্যাদি। এ ছাড়া অভিযোগের তালিকায় আছে তথাকথিত তুলা, ট্যাবলেট, ইঞ্জেকশন, ভিটামিন, ইউরিয়া সারের অপপ্রয়োগের ঘটনা।
মোটাতাজাকরণের নামে পশুর প্রাকৃতিকগত গুণ, বৈশিষ্ট্য বা আকৃতি বদলে ফেলা, যেমন—প্লায়ার্স দিয়ে পশুর দাঁত তুলে ফেলে বয়স প্রমাণের চেষ্টা, রং বদলে দেওয়া, পশুর হৃৎপিণ্ড, কলিজা, ফুসফুস, কিডনি বিকল করে ফেলে—এমন ওষুধ প্রয়োগ করা নৈতিকতা পরিপন্থী, হারাম ও প্রতারণা। মহান আল্লাহ বলেন, ‘বিনাশ ও বিপর্যয় ধোঁকাবাজদের জন্য…।’ (মুতাফফিফিন : ০১)। প্রিয় নবী (সা.) বলেছেন, ‘যে প্রতারণা করে সে আমার দলভুক্ত নয়।’ (মুসলিম)।
খলিফা ওমর (রা.)-এর যুুগে এক বেদুইন একটি গরুর পিঠে বোঝা চাপালে গরুটি তা বহনে অস্বীকৃতি জানায়। মহান আল্লাহ গরুটিকে ‘বাক্শক্তি’ দিয়েছিলেন বলেই এটি সম্ভব হয়েছিল। আজও যদি এমন হতো, তবে?
গবাদি পশুর খাদ্যতালিকা
গবাদি পশুর প্রধান খাদ্য লতা-গুল্ম তথা সবুজ ঘাষ। এ ছাড়া কৃষিশিল্প উপজাত যেমন—খড়, আখের আগা, ফলের ছোবড়া ইত্যাদি এবং শস্যের উপজাত বা অবশিষ্টাংশ, যেমন—ঝোলা গুড়, খইল, ভুসি, আনারসের বর্জ্য। সবুজ খাদ্যের তালিকায় আরো আছে নানা জলজ উদ্ভিদ, খুদিপানা। আছে নেপিয়ার, পারা, গাম্বু ঘাস এবং মৌসুমি শস্যের মধ্যে ভুট্টা, মোটর, খেসারি, যব, শণ ইত্যাদি।
কৃষিতথ্য সার্ভিসের তথ্য অনুযায়ী একটি গরুর প্রতিদিনের আদর্শ খাদ্যতালিকায় থাকবে—কাঁচা ঘাস পাঁচ-ছয় কেজি, দানাদার হিসেবে বিভিন্ন ডালের ভুসি দু-তিন কেজি, সঙ্গে দু-তিন কেজি চালের কুঁড়া ও গমের ভুসি।
গরুর ত্বক মসৃণ ও স্বাভাবিকভাবে চর্বি বৃদ্ধির জন্য দৈনিক ২৫০ গ্রাম সরিষার খইল। যথেষ্ট পরিমাণ ভাতের মাড়, চাল ধোয়া পানি, সবজি ও ফলের খোসা, নিরাপদ পানি, লবণ ইত্যাদি।
পোল্ট্রি ফিড কি গবাদি পশুর খাদ্য
অভিযোগ আছে, মোটাতাজাকরণে ব্যবহৃত হচ্ছে পোল্ট্রি ফিড বা ব্রয়লার মুরগির খাবার। এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশে স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান Nourish Customer Service-এর রংপুর অঞ্চলের ডা. শাহ আজমের পরিষ্কার কথা হচ্ছে, ‘ব্রয়লারের ফিড গরুকে খাওয়াবেন কেন? গরু ও মুরগির দৈহিক চাহিদা ও হজম প্রক্রিয়া কি এক?’ এ প্রসঙ্গে আরেকজন প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আশাদুল হক বলেন, পোল্ট্রি ফিড নয়, ভিটামিনজাতীয় খাবার খেলেই গরুর স্বাস্থ্য ও গৃহস্থের জন্য মঙ্গল। আর কুষ্টিয়া মেডিক্যাল কলেজের সিনিয়র কনসালট্যান্ট ডা. জমির উদ্দিন বলেন, ব্রয়লারের ফিডে স্টেরয়েড থাকলে তা মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর। এতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়াসহ লিভার, কিডনি নষ্ট হওয়াসহ স্ট্রোক হতে পারে। শিশুদের জন্য তা আরো মারাত্মক।
মোটাতাজাকরণে অনুসরণীয় পদ্ধতি
কৃষিতথ্য সার্ভিসের পরামর্শ হচ্ছে, স্বাস্থ্যসম্মত মাংস উৎপাদন ও মোটাতাজা পাঁচটি পদ্ধতির মাধ্যমে করা সম্ভব। যথা—১. পশু নির্বাচন, ২. পশুর বাসস্থান, ৩. প্রতিষেধক, ৪. কৃমিনাশক এবং ৫. পুষ্টিকর খাদ্য সরবরাহ।
কৃষিকথা পত্রিকা থেকে জানা যায়, প্রাথমিক প্রস্তুতিতে এ জন্য একজন অভিজ্ঞ ভেটেরিনারি চিকিৎসক যা করেন তা হলো—
ক) মল পরীক্ষা করে কৃমির ওষুধ দেন।
খ) পাতলা পায়খানা বা পেটে কোনো সংক্রমণ থাকলে, শুধু পরিপাকতন্ত্রে কাজ করে—এমন অ্যান্টিবায়োটিক দিয়ে চিকিৎসা দেন।
গ) আমাশয় থাকলে মেট্রোনিডাজল গ্রুপের কার্যকর ওষুধ দেন। ফলে পশুর হজমপ্রক্রিয়া স্বাভাবিক হয় এবং দ্রুত পশুস্বাস্থ্যের উন্নতি হয়।
মোটাতাজাকরণে ইউরিয়া মোলাসেস স্ট্র
গরু মোটাতাজাকরণে দ্রুত ওজন বৃদ্ধিকে প্রাধান্য দিয়ে প্রচলিত, অপ্রচলিত খাদ্যের জোগানের মাধ্যমে দ্রুত ওজন বাড়ানোর জন্য অবলম্বন করা হয় নানা অবৈজ্ঞানিক উপায়। অথচ স্থানীয় জাতের আনুমানিক ৯৮ কেজি ওজনের বাছুরকে বাংলাদেশ পশুসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট উদ্ভাবিত প্রযুক্তি অনুযায়ী খাদ্য খাওয়ালে প্রতিদিন প্রায় ৪৫০ গ্রাম ওজন বাড়ে। প্রযুক্তিটি হলো, ০৫ লিটার পানি + ২.৫ কেজি চিটাগুড় + ২৫০ গ্রাম ইউরিয়া মিশ্রিত দ্রবণের সঙ্গে ১০ কেজি শুকনো খড় মিলিয়ে বিশেষ উপায়ে তৈরি হয় ‘ইউরিয়া মোলাসেস স্ট্র’ বা UMS।
ঘাসের অপ্রতুল জোগানের সমস্যা মোকাবেলায় ব্যবহৃত হয় ‘ইউরিয়া মোলাসেস স্ট্র’। তবে এ ধরনের খাদ্য দৈনিক তিন-চার কেজির বেশি খাওয়ালে গরুর শরীরে বিষক্রিয়া হতে পারে। পরে ওই গোমাংস মানবদেহের জন্যও মারাত্মক ক্ষতির কারণ হতে পারে।
তুলা কি গোখাদ্য
ইদানীং দেশের বিভিন্ন এলাকায় গোখাদ্য হিসেবে কারখানার পরিত্যক্ত তুলা ব্যবহৃত হচ্ছে। সচেতনতার অভাব ও গোখাদ্যের মূল্যবৃদ্ধির ফলে পশুখাদ্য হিসেবে তুলার ব্যবহার বেড়ে গেছে। অনেকে তুলা খাওয়ায় পশুস্বাস্থ্যের উন্নতির আশায়, অথচ ধারণাটি নিতান্ত অজ্ঞতাপ্রসূত। কারণ খাবার হিসেবে ব্যবহৃত তুলা স্পিনিং কারখানার পরিত্যক্ত তুলা। এর সঙ্গে বিভিন্ন লোহার তার, সুতা, ময়লা, নানা ধরনের রাসায়নিক থাকে। প্রসঙ্গত, গাজীপুরের জাবের স্পিনিংয়ের সহকারী ব্যবস্থাপক জানান, সুতা উৎপাদন কাজে ব্যবহৃত তুলা বিভিন্ন মেশিনে রিসাইক্লিং হয়ে কিছু তুলা পরিত্যক্ত হয়। এতে সুতা, তার, ধাতব ও বিভিন্ন রাসায়নিক বস্তু থাকে।
গাজীপুরের একজন উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা জানান, কারখানার পরিত্যক্ত তুলা অখাদ্য, যা ব্যবহারে পশুর স্বাস্থ্যহানির পাশাপাশি মৃত্যুঝুঁকিও রয়েছে। এ ব্যাপারে প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. খায়রুল বাশার জানান, সরাসরি তুলার বীজ থেকে পাউডার তৈরি করে কিছু ক্ষেত্রে খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করা যায়; কিন্তু কারখানার পরিত্যক্ত তুলা অখাদ্য ও তা পশুস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।
তবে কোনো কোনো দেশে তুলার বীজ থেকে প্রাপ্ত পরিশোধিত খাবার তেল ও সাবান তৈরিতে অপরিশোধিত তেল ব্যবহৃত হচ্ছে। ওই প্রক্রিয়ায় উৎপন্ন তুলার বীজের খইল পশুখাদ্য ও জৈব সার হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
আমি কোথাও কোনো রচনায় গোখাদ্যের তালিকায় তুলার বিবরণ পাইনি। কাজেই জিজ্ঞাসা হলো তুলা কি গোখাদ্য?
অনৈতিক উপায়ে পশু মোটাতাজাকরণসহ অবৈধ উপায়ে সব রকম জীবিকা অর্জন ইসলামে নিষিদ্ধ। মহান আল্লাহ বলেন, ‘হে বিশ্বাসীরা, তোমরা একে অন্যের সম্পদ অন্যায়, অবৈধভাবে গ্রাস কোরো না।’ (নিসা : ২০)। প্রিয় নবী (সা.) বলেন, ‘যে দেহ হারামে গঠিত, পরিপুষ্ট, তা জান্নাতে প্রবেশ করবে না। বরং জাহান্নামই তার উপযুক্ত ঠিকানা।’ (বায়হাকি) হারাম উপার্জন ইবাদত ও দোয়া কবুলের অন্তরায়। মুসলিম শরিফে আছে, ‘এক মুসাফির আকাশের দিকে হাত তুলে ডাকছে—হে প্রভু, হে প্রভু, অথচ তার খাদ্য হারাম, পানীয় হারাম, পোশাক হারাম, সে হারামের মধ্যে সব সময় অতিবাহিত করে। তবে তার দোয়া কিভাবে কবুল করা হবে?
পরিশেষে প্রিয় নবী (সা.)-এর সতর্ক বাণী মনে রাখা প্রয়োজন, ‘মানুষের মধ্যে এমন একটা কাল আসবে যখন লোকে কোনো পরোয়া করবে না যে সে সম্পদ কোথা থেকে লাভ করল—হালাল উপায়ে, না হারাম উপায়ে।’ (বুখারি)
লেখক : সহকারী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান, ইসলামিক স্টাডিজ, কাপাসিয়া ডিগ্রি কলেজ, কাপাসিয়া, গাজীপুর