কালাই রুটি বিক্রি করে মাসে আয় ৬০ হাজার টাকা

কালাই রুটি ভোজন রসিকদের কাছে বেশ জনপ্রিয়। মরিচ বাটা, পেঁয়াজ কুচি বা সরিষার তেল দিয়ে বেগুন ভর্তার সঙ্গে গরম কালাই রুটি বেশ জনপ্রিয়। শীতের আগমনে সুস্বাদু কালাই রুটির দোকান গড়ে উঠেছে কুষ্টিয়ার বিভিন্ন স্থানে। অস্থায়ীভাবে ফুটপাতের পাশে গড়ে ওঠা এসব দোকানের চা বিক্রিও বেড়েছে বেশ। দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ কালাই রুটি খেতে আসছেন এসব দোকানে।

কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার খাড়ারা গ্রামের ফেরত মোড় নামক স্থানে গিয়ে দেখা যায়, ফুটপাতের পাশে অস্থায়ীভাবে গড়ে উঠেছে একটি কালাই রুটির দোকান। সেখানে খাইরুল ইসলাম নামে একজন রুটি তৈরি করছেন। রুটি তৈরিতে সহায়তা করছেন তার স্ত্রী।

খাইরুল ইসলাম বলেন, ‘আমি আগে স্যালো ইঞ্জিন চালিত পটাং গাড়ি চালাতাম। গাড়ির স্ট্যান্ডের রেললাইনের পাশে এক নারী কালাই রুটি তৈরি করতেন। তা দেখে প্রথম আমি শিখি। সেখান থেকে শিখে পরবর্তীতে আমি নিজেই রুটি তৈরি শুরু করেছি। আমার দোকানে অনেকেই এসে কালাই রুটি খান ও সুনাম করেন।’
তিনি আরও জানান, প্রতিদিন ১০-১২ কেজি আটার রুটি বিক্রি হয়। এককেজি আটায় ৬-৭টি রুটি হয়। রুটির সঙ্গে বেগুন ভর্তা, পেঁয়াজ, রসুন, ধনিয়ার পাতা ছাড়াও রায় বাটা থাকে। কালাই রুটি দুই রকম তৈরি হয়। এর মধ্যে শুধু কালাই রুটি ৪০ টাকা পিস বিক্রি করা হয়। এছাড়া আরেক রকম ২৫ টাকা পিস বিক্রি করা হয়।
খাইরুল ইসলাম বলেন, প্রায় ৩ বছর ধরে কালাই রুটি বিক্রি করছেন। শীতের ৩-৪ মাস কালাই রুটি বিক্রি হয়। প্রতি মাসে ৫০-৬০ হাজার টাকা রুটি বিক্রি করেন। আর প্রতি দিন ২৫০০ টাকা পর্যন্ত বেচাবিক্রি হয়।

কালাই রুটি খেতে আসা আছাদুর রহমান বাবু বলেন, ‘অনেকদিন ধরে শুনছি আমাদের বাড়ি থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে খাড়ারায় ফেরত মোড়ে খুব ভালো কালাই রুটি তৈরি করা হয়। তাই আমরা খেতে আসছি। এই রুটি খেয়ে অনেক ভালো লেগেছে।’
মামুনুর রশিদ জানান, মিরপুরের গেট পাড়া থেকে কালাই রুটি খেতে এসেছি। বেগুন ভর্তা আর ধনিয়া পাতা দিয়ে মসলা বানানো অনেক সুস্বাদু। এটা আমি গত বছর খাওয়ার পর এত ভালো লেগেছিল। এ কারণে খেতে এসেছি।
আশরাফুল আলম হিরা নামে একজন বলেন, ‘আমি মিরপুর পৌর এলাকা থেকে কালাই রুটির সন্ধান পেয়ে খেতে এসেছি। এখানে এসে দেখতে পেলাম আমার মতো অনেকে রুটি খেতে এসেছেন। গরম গরম কালাই রুটি খেয়ে বেশ ভালো লাগলো।’

businessnews