দিনে ৫০ গ্যালন রক্ত ফিল্টার করে কিডনি। তাই রক্তে অস্বাভাবিকতা যত কম থাকবে, কিডনির ওপর চাপও তত কম পড়বে।
রক্তে সোডিয়ামের মাত্রাও নিয়ন্ত্রণ করে কিডনি। তাই লবণ খাওয়া উচিত পরিমিত মাত্রায়। কারণ বেশি সোডিয়াম ফিল্টার করতে গেলেই কিডনি কাহিল হয়ে পড়ে।
কিডনি শুধু রক্ত পরিষ্কারই করে না, রক্তের অন্যতম উপাদান লোহিত রক্তকণিকা তৈরিতেও এর ভূমিকা আছে। কিডনি থেকে এরিথ্রোপোয়েটিন নামের একটি হরমোন নিঃসৃত হয়। ওটার কারণেই লোহিত রক্তকণিকা উৎপাদন প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত হয়।
আগের দিনে মানুষ যখন কিডনির কথা প্রথম জানতে পারে, তখন তারা মনে করতো, মানুষের আত্মা কিডনিতেই বাস করে এবং এ অঙ্গটিই আমাদের সাহস যোগায়।
প্রতিটি কিডনিতে প্রায় ১০ লাখ ক্ষুদ্রাকৃতির ফিল্টার থাকে। একে বলে নেফ্রন। এগুলোই রক্তের যাবতীয় আবর্জনা ছাঁকে।
হৃৎপিণ্ড থেকে পাম্প করা রক্তের ২০ ভাগই সরাসরি কিডনিতে চলে যায়। তাই অঙ্গটিকে চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় ‘হাই ভাসকুলার অর্গান’ বলা হয়। মানে এর জন্য প্রচুর রক্তের সরবরাহ প্রয়োজন।