Stories শুরু থেকে শেষ, শেষ থেকে শুরু By abc on Nov 20, 2024Nov 20, 2024 এক লোক পাথর কাটার কাজ করতো। লোকটা জীবনে তার অবস্থান নিয়ে খুবই অসন্তুষ্ট থাকতো সবসময়।একদিন সে এক ধনী ব্যবসায়ীর বাড়ির পাশ দিয়ে যাচ্ছিলো। বাড়ির জানালা দিয়ে সে দেখছিলো ব্যাবসায়ীর শান-শওকত। খুব ঈর্ষান্বিত হয়ে সে চিন্তা করতে লাগলো, ‘আহা আমি যদি বণিকের মতো হতে পারতাম!’কি আশ্চর্যের ব্যাপার, লোকটা হঠাৎ বিরাট বণিক হয়ে উঠলো। তার কল্পনার চেয়ে বেশি বিলাসিতা এবং ক্ষমতা উপভোগ করতে লাগলো।একদিন সে দেখলো রাজ্যের প্রধান বিচারক রাস্তার পাশ দিয়ে যাচ্ছেন। সে দেখলো, বিচারক একটা চেয়ারে বসে আছেন এবং তাকে একদল সৈন্য বয়ে নিয়ে চলছে।রাস্তার পাশের দোকানিদের সৈন্যরা দেদারসে পেটাচ্ছে।জনতা বিচারকের সামনে মাথা নত করছে।বণিকের মনে মনে ভাবতে লাগলো, আহা বিচারক কত শক্তিশালী!আমি যদি একজন বিচারক হতে পারতাম!”তারপরে সে এক বিচারক হয়ে উঠলো, তার সৈন্যরা তাকে সেডান চেয়ারে সর্বত্র বহন করে নিয়ে যেতে লাগলো। তার চারপাশের লোকজন তাকে প্রচণ্ড ভয় ও ঘৃণা করতে লাগলো।এক গ্রীষ্মের দিনে বিচারক সেডান চেয়ারে খুব অস্বস্তি বোধ করেছিলো। সে সূর্যের দিকে তাকালো। আকাশে গর্বিতভাবে জ্বলজ্বল করছিলো সূর্য। বিচারকের উপস্থিতিতে সে একটুও নতজানু হয়নি।“সূর্য কত শক্তিশালী!” বিচারক ভাবলো।“আমি যদি সূর্য হতে পারতাম!”তারপর সে সূর্য হয়ে উঠলো,সকলের উপর প্রচণ্ডভাবে জ্বলে উঠলো,ক্ষেত পুড়িয়ে দিলো।কিন্তু একদিন একটা বিশাল কালো মেঘ তার এবং পৃথিবীর মাঝখানে চলে এলো। সূর্য আর তার আলো দিয়ে নীচের কোন কিছুকেই জ্বলতে পারে না।“এই মেঘটা কতই শক্তিশালী!” সূর্য ভাবছে।“আমি যদি মেঘ হতে পারি!”তারপর সে মেঘ হয়ে ওঠে। বৃষ্টি নেমে, বিদ্যুৎ চমকে সে মাঠ ও গ্রাম প্লাবিত করে দিতে লাগলো।কিন্তু শীঘ্রই সে দেখতে পেলো যে- তাকে কোন বড় একটা শক্তি দূরে ঠেলে দিচ্ছে। মেঘ বুঝতে পারলো এটা বাতাস। “এটা কতটা শক্তিশালী!” মেঘ ভাবতে লাগলো।“আমি যদি বাতাস হতে পারতাম!”তারপর সে বাতাস হয়ে গেলো।বাড়ির ছাদ উড়িয়ে দিলো, গাছ উপড়ে ফেলল।কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই বাতাস আবিষ্কার করলো সে এমন কিছুর সাথে ধাক্কা খাচ্ছে যাকে সে নাড়তে পারছে না কোনক্রমেই। সে দেখলো একটি বিশাল, সুউচ্চ পাথর দাঁড়িয়ে আছে।“পাথর কতই না শক্তিশালী!” সে ভাবলো।“আমি যদি একটা পাথর হতে পারতাম!”তারপর সে একটা পাথরের খণ্ড হয়ে গেলো।পৃথিবীর অন্যতম শক্ত পদার্থ।কেউ তাকে নাড়াতে পারে না।কিন্তু কিছুক্ষণ বাদেই সে লক্ষ্য করলো একটি হাতুড়ির শব্দ ভেসে আসছে। কেউ একজন পাথরটাকে ভাঙছে।“আমার চেয়ে শক্তিশালী আর কে হতে পারে”, পাথর ভাবছে।সে নিচে তাকিয়ে তার অনেক নিচে একটা লোককে পাথর কাটতে দেখতে পেলো।সে তার নিজেকে চিনতে পারলো।—আমাদের মৃত্যুর পর আমরা পিঁপড়ার খাদ্য হবো, সেই খাদ্যের কিছু অংশ পিঁপড়ার বৃষ্ঠাও হবে। সেখানেও আমরা থাকবো। সেটা হয়তো কোন গাছের খাদ্য হবে। সেই গাছ আবার হয়তো হবে খনিজ।একটা গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কার হবে একদিন। সেই গ্যাস দিয়ে রান্না করার সময় আমি দেখবো আমিই সামনে দাঁড়িয়ে রান্না করছি।আমিই চুলার গ্যাস, আমিই স্টিলের কড়াই।আমিই সসপেনের ওপরের ডিম। আবার আমিই সেটা খাচ্ছি।আমাদের সমস্ত অনুসন্ধানের শেষে আমরা সেই জায়গায় পৌঁছাবো যেখান থেকে আমরা শুরু করেছিলাম। Post Views: 107 Related posts: হরর গল্প : মৃত্যুছায়া রোমান্টিক হরর গল্প : দম্পতি অতিপ্রাকৃতিক সায়েন্স ফিকশন গল্প : পরীবিবির দোলনা হরর-থ্রিলার গল্প পদ্মলতা ধ্রুব নীলের মজার ভূতের গল্প : থিংক লাইক ভূত বাংলা গল্প : কবি ও মুক্তা রোমান্স গল্প : উপভোগ গল্প : ড্রাইভার আধ্যাত্মিক গল্প : অস্তিত্ব কষ্টের গল্প : লাইটার সায়েন্স ফিকশন গল্প : দ্য অ্যাওয়ার্ড রোমান্টিক গল্প : ইমার জন্য অপেক্ষা ভয় : ধ্রুব নীলের হরর গল্প রোমান্টিক উপন্যাস – ফ্যান্টাসি থ্রিলার কৃ (পর্ব-১১) রোমান্টিক ফ্যান্টাসি উপন্যাস কৃ (১৪-২১ সমাপ্ত) সায়েন্স ফিকশন গল্প টিম্ভুত সায়েন্স ফিকশন উপন্যাস : মায়াদ্বীপ ২৩৯০ সামাজিক গল্প : সেরা উপহার ৫০ বিরহের গল্প : পর্ব -৩ : আপনা ভুলিয়া মুক্তিযুদ্ধের কিশোর গল্প : বুড়ো আঙুল storiesstoryগল্পশিক্ষণীয় গল্প