Browsing tag

অতিপ্রাকৃত গল্প

ধ্রুব নীলের অতিপ্রাকৃত সায়েন্স ফিকশন : যে কারণে ঘোর বর্ষা দেখতে নেই

 বর্ষা খুব বেশি হলে তাকে ঘোর বর্ষা বলে। এর কারণ, অধিক বর্ষায় এক ধরনের ঘোর লাগে। তবে সত্য কথাটা হলো এই ঘোর সবার লাগে না। আমার লাগার কথা ছিল কিনা জানি না, তবে ১৯৯০ সালের ওই ঘটনায় আমি একবার ভীষণ এক বর্ষা-ঘোরে পড়ে গিয়েছিলাম। মাসটা ছিল আষাঢ়।দুলার হাটে আমি আগে কখনো যাইনি। আমার এক বন্ধু […]

অতিপ্রাকৃতিক গল্প : খোলস | লেখক : ধ্রুব নীল

সকাল সকাল সাইকেলের প্যাডেল দাবিয়ে চলেছেন তৈয়ব আখন্দ। চকচকে টাক, পেছনে কয়েক গাছি চুল, গোলগাল মুখে খোঁচা খোঁচা দাড়ি, সামান্য ভুড়ি; এমন একটা মানুষের নাম তৈয়ব আখন্দ হওয়াই তো স্বাভাবিক! তৈয়ব আখন্দ সম্ভবত কোনো একটা ছোটখাট কোম্পানিতে চাকরি করেন। ছোটখাট পদে। বড় পদ হলে চকচকে স্যুট টাই পরতেন। তৈয়ব আখন্দের এসব নেই। আছে একটা পুরনো বাইসাইকেল। অফিসে […]

হরর গল্প : মৃত্যুছায়া

ধ্রুব নীলের হরর গল্প ‘কেউ মারা যাবে কিনা সেটা আমি আগেভাগে বলে দিতে পারি। চেহারা দেখলেই বুঝতে পারি।’ ‘আপনার নামটা কী যেন…।’ ‘সিদ্দিকুর রহমান। আমার বয়স পঞ্চাশ। ডায়াবেটিস আছে।’ সিদ্দিকুর রহমানকে দেখেই বোঝা যায় তিনি অস্বস্তিতে আছেন। মাথা নিচু করে পায়ের নখ দিয়ে ফ্লোর খোঁটার চেষ্টা করছেন। টাইলস শক্ত হওয়ায় পারছেন না। অস্বস্তিতে পড়ার কারণ হলো […]

ভয় : ধ্রুব নীলের হরর গল্প

সদ্য খোঁড়া কবরের ভেতর শুয়ে আছি। স্যাঁতস্যাঁতে মাটি লেগে শার্টের পেছনটা ভিজে গেছে। ভেতরটা উষ্ণ। বাতাসের জন্য একটা পাইপের ব্যবস্থা আছে। তবু মনে হচ্ছে অক্সিজেন পাচ্ছি না। পাইপের অপরপ্রান্তে সম্ভবত পলিথিন জাতীয় কিছু আটকে গেছে। পাশ ফিরতেও সমস্যা। কারণ আমার পাশেই একটা তরতাজা কাফনে মোড়া লাশ। লাশ কি তরতাজা হয়? লাশ মানে জড়বস্তু। মনে করুন […]