পৃথিবীর বাইরেও প্রাণের অস্বস্তি ( এলিয়েনরা ) আছে এমনটি দাবি করছেন বিজ্ঞানীরা। আবার কোনও কোনও গবেষক মনে করেন পৃথিবীই একমাত্র প্রাণের উৎস। এ নিয়ে বিস্তর যুক্তি-তর্ক রয়েছে। তবে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার এক বিজ্ঞানী দাবি করছেন, ভিনগ্রহে প্রাণী শুধু আছে তাই নয়, তারা হয়তো এতদিনে পৃথিবীতে ঘুরেও গিয়েছে। কিন্তু আমরা তাদের শুধু দেখতে পাইনি।
নাসার একটি গবেষণা কেন্দ্রে মহাকাশ নিয়ে গবেষণা করেন সিলভানো পি কলোম্বানো। তিনি জানিয়েছেন, মানুষ হয়তো টেরই পাচ্ছে না ভিনগ্রহীরা পৃথিবীতে এসে বাসা বেঁধেছে। কারণ তাদের অদ্ভুত আকৃতি ও চেহারার কারণে দেখা যাচ্ছে না।
এই বিজ্ঞানীর দাবি, হতে পারে অন্য গ্রহের বাসিন্দারা কার্বন দিয়ে তৈরি নয়। তারা এমন কোনও উপাদানে তৈরি যা মানুষ খালি চোখে দেখতে পায় না।
তিনি আরো বলেন, এখন আমাদের আর হাত ঘুটিয়ে বসে থাকার যুক্তি নেই। আমাদের অন্য কোনও পদ্ধতিতে এদের সন্ধান করা উচিত।
এর আগে বিজ্ঞানী স্টিফেন হকিং জানিয়েছিলেন, অন্য গ্রহের প্রাণীরা অন্যরকম দেখতে হতেই পারে। এমনকি তরল বা গ্যাসীয় পদার্থের মতোও হতে পারে।
প্রসঙ্গত, ভিনগ্রহের প্রাণী বলতে পৃথিবী বাইরে ভিন্ন মহাকাশের অন্য কোনো স্থানের প্রাণকে বোঝায়। যা এলিয়েন নামে পরিচিত। আবার অনেকেই ভিনগ্রহের প্রাণী বলতে মানুষের আকৃতির প্রাণী বুঝে থাকলেও বস্তুত যেকোনো ধরণের প্রাণীই এ তালিকায় হতে পারে। একটা সূক্ষ্ম ব্যাকটেরিয়াও ভিনগ্রহের প্রাণী হতে পারে।