ইয়োসেমাইট ন্যাশনাল পার্কস হাফ ডোম, ক্যালিফোর্নিয়া মৃত্যুর আগে হাসার কথা ভাবতে পারেন! তাহলে এটাই আদর্শ জায়গা। পাথর বেয়ে ওপরে উঠতে একদিন লাগবে। তাতে ১০০০০ ক্যালোরি ঝরবে। তবে সমস্যা দেখা দেবে শেষ ৪০০ ফুট পার করতে। পিচ্ছিল পাথর বেয়ে ওপরে উঠতে হবে। তার বাঁধা থাকলেও উঠতে সমস্যা হয়। এখনও পর্যন্ত ৬০ জন প্রাণ হারিয়েছেন।
সিনাবুঙ্গ ভলক্যানো, ইন্দোনেশিয়া চোখের সামনে লাভা নির্গমন দেখতে চান! যে কোনও মুহূর্তে বিপদে পড়েত পারেন। তাতে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। তবে সুমাত্রা দ্বীপে না গেলেই নয়। ২০১০, ২০১৩, ২০১৪, ২০১৫ এবং ২০১৬ সালে লাভায় ঢেকে যায় একটা গোটা গ্রাম। বাতাসে মিশে যায় বিষাক্ত গ্যাস। তাতে বহু মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। প্রাণ হারিয়েছিলেন অনেকে।
এলিফ্যান্ট কিংডম, তাইল্যান্ড ‘জলে কুমির ডাঙায় বাঘ’ প্রবাদটি শুনেছন! এখানে জলে শুধুই কুমির। লঞ্চ বা নৌকো থেকে মাংস খাওয়াতে যান অনেকেই। সেই সময় লঞ্চের ওপর কুমিরের লাফিয়ে উঠে পড়ার ঘটনাও ঘটেছে। পর্যটকদের দিকে তেড়ে গিয়েছে বড়সড় কুমির, এমনও হয়েছে।
স্কেলিগ মাইকেল, আয়ারল্যান্ড এই নির্জন দ্বীপে গিয়ে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। সমুদ্রের ধার ঘেঁষে পাহাড় উঠে গিয়েছে। তবে সেখানে যেতে গেলেই সমস্যা দেখা দেয়। হাজার বছরের পুরনো ধাপগুলো এতটাই পিচ্ছিল যে, একটু অসাবধান হলেই দেহ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর হয়ে দাঁড়াবে।
ভ্যালি অফ ডেথ, কামচাতকা, রাশিয়া ছবি দেখে বোঝার উপায় নেই। ভূ-পৃষ্ঠ ফুঁড়ে ঝরনার মতো ঊর্ধ্বমুখী জলের ধারা বেরিয়ে এসেছে। সেই সঙ্গে বিষাক্ত গ্যাসও। তা বাতাসেও মিশছে অহরহ। যাঁরা একা থাকতে পছন্দ করেন, নির্জন পরিবেশ তাঁদের ভাল লাগবে।
বিকিনি আটোল, দ্য মার্শাল আইল্যান্ডস নাম শুনে সমুদ্র সৈকত আর লাস্যময়ীদের আনাগোনা ভেবে বসবেন না যেন! বরং সেখানে গেলে আপনার শরীরে বাসা বাঁধতে পারে ক্যানসারের জীবাণু। কারণ চল্লিশ এবং পঞ্চাশের দশকে সেখানে পরমাণু বিস্ফোরণ ঘটিয়েছিল মার্কিন সেনা। আজওসেখানকার তেজষ্ক্রিয় বিকিরণের মাত্রা মারাত্মক।