দেশের ভেতর এক টুকরো অবকাশ

দেশের ভেতর পল্লীগ্রামের আশপাশে একটুখানি অবকাশনই হতে পারে ছুটির দিনে ব্যস্ত জীবনের বাঁধাধরা ছাঁচ ভেঙে দেওয়া একটি সার্বজনীন জীবনযাপন।


বয়স ও পেশাভেদে সবাই চায় দৈনন্দিন জীবনের একঘেয়েমি থেকে একটুখানি ছুটি। বাংলাদেশে এমন অনেক মানুষ আছে যারা ঘুরে বেড়াতে এক পায়ে রাজি। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলো এখন হয়ে গেছে উদযাপনের ও পুনরুজ্জীবিত হওয়ার মাহেন্দ্রক্ষণ। ভালো খাবারের স্বাদ নেওয়া, স্পাতে নিজেকে সতেজ করা, এবং শহর থেকে খুব একটা দূরে নয় এমন অদেখা জায়গাগুলো ঘুরে দেখা এখন বাংলাদেশের জীবনধারার নতুন একটি ধরন। এ ধরনের মানুষদের মনের খোরাক মেটাতে শহরের সীমানা ঘেঁষেই আছে অনেকগুলো রিসোর্ট ও ইকো রিসোর্ট। যাতে স্পা, ছোট গলফ কোর্স ও সবুজে ভরা সতেজ প্রকৃতির মাঝে মানুষরা তাদের সপ্তাহান্তের ছুটিটা আরামে কাটাতে পারেন। যেখানে দেশের ভেতর ভ্রমণ মানেই সাধারণত বোঝানো হতো সৈকতের দিকে ১২ ঘণ্টার ভ্রমণ কিংবা নৌবিহার, সেখানে আজকাল ভাড়ায় মিলছে ফার্মহাউস, যা একটি তুলনামূলক নতুন ধারণা এবং দেশের পর্যটন খাতে বিপ্লব এনে দিচ্ছে এটা।
ভাওয়াল রিসোর্ট: গাজীপুরের ভাওয়াল রিসোর্ট একটি বিলাসবহুল রিসোর্ট যা নির্মাণ করা হয়েছে বিনোদন ও অবকাশ যাপনের জন্য। প্রাকৃতিক রেইনফরেস্টে ঘেরা এবং একরের পর একর জায়গাজুড়ে নান্দনিক ভূদৃশ্যে ভরপুর এই রিসোর্টটি ঢাকা থেকে গাড়িতে মাত্র এক ঘণ্টার পথ। এর আছে গর্ব করার মতো দেশের সবচেয়ে বড় সুইমিং পুল, মনোরম ও সর্বাধুনিক স্পা, ফিটনেস সেন্টার, সেমিনার রুম এবং অফিসের জন্য স্থান এবং ৬২টি আলাদা আবাসিক ভিলা। এ রিসোর্ট নিয়ে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন www.bhawalresort.com এ।

কন্টিক রিভার ক্রুজ

বাংলাদেশে ইকো-ট্যুরিজমের অগ্রপথিক এটি। কন্টিক নৌবিহারকে বর্ণনা করতে হলে বলতে হয় এ যেন হালকা সোনালী রঙে রাঙানো এক টুকরো বিলাসিতা। এটা বাংলাদেশের নদীর তীরবর্তী অঞ্চলগুলো ঘুরে আসার জন্য পুরোপুরি কাঠের তৈরি নৌকায় ঘোরার সুযোগ করে দেবে যা নৌকা ভ্রমণের মৃতপ্রায় ঐতিহ্যকেও পুনরায় জাগিয়ে তুলছে। কন্টিক কুজ জলে অবকাশ যাপনের এমন এক আয়োজন যা অন্য যে কোনও রিসোর্ট থেকে ভিন্ন। শহরের হইচই থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য হোক বা স্বল্পদৈর্ঘ্যরে কোনো নৈশভোজের আয়োজন; কন্টিকে সবকিছুরই ব্যবস্থা আছে। প্রাকৃতিকভাবে সুনিপুণ এ ভ্রমণে বের হওয়ার সবচেয়ে ভালো সময় হচ্ছে অক্টোবর থেকে মার্চের মাঝামাঝি।
তারা দুই ধরনের নৌকা অফার করে থাকে- বি-৬১৩ এবং দ্য ফ্ল্যাচে ডি’অর। দুটিই পূর্ণদিবস, বিকেল, নৈশভোজ এবং পূর্ণরাতের নৌবিহার অফার করে থাকে। তাদের সেবা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- http://www.contic.net

বেস ক্যাম্প বাংলাদেশ

রাজেন্দ্রপুরের বেজক্যাম্প হচ্ছে বাংলাদেশের সর্বপ্রথম বেজক্যাম্প, যেখানে আউটডোর অ্যাক্টিভিটি আছে যেমন গাছে ও মটিতে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ, জিপ লাইনিংয়ের সুযোগ, মেঠোপথে সাইক্লিং, বনের মধ্যে ট্রেকিং এমনকি তীর ছোড়ার ব্যবস্থাও। এসবের পাশাপাশি তারা আবহওয়া প্রতিরোধক তাঁবুর মধ্যে থাকারও ব্যবস্থা করে, আছে সুইমিং পুল এবং বাইরে রেইনফরেস্ট শাওয়ার ও ক্যাম্পফায়ার নাইট করারও সুযোগ।
এখানে কিছু সাধারণ সেনা প্রশিক্ষণের স্বাদও পেতে পারেন, যেমন টায়ারের ভেতর দিয়ে এগিয়ে চলা, দড়ির ওপর হাঁটা, উঁচুতে ওঠা, রোপ ট্রেঞ্চ ও মাংকি পাস। যদিও এখানে বাংলো ও এসি কক্ষ আছে তবুও অভিযাত্রীরা বেস ক্যাম্পে আরাম করতে খুব কমই যায়। এই ফ্যাসিলিটি সম্পর্কে আরও জনুন http://thebasecampbd.com/home/ ওয়েবসাইটটিতে।